যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর যা বলল ইরান

ইসরায়েলি হামলার পর মধ্য ইরানে নাটানজ পারমাণবিক স্থাপনার স্যাটেলাইটে তোলা ছবি। ১৪ জুন, ২০২৫। ছবি: এএফপি

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই) তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

সংস্থাটি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সমালোচনা করে 'উদাসীন' এবং 'এমনকি জড়িত' বলেও সমালোচনা করেছে।

আজ রোববার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এইওআই বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই হামলার নিন্দা জানাতে এবং ইরানের সঠিক অবস্থানকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, শত্রুদের বিদ্বেষপূর্ণ পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা দেশের পরমাণু শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এই হামলার ঘটনায় আইনি পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ফোরদোতে মার্কিন হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বড় ধরনের কোনো বিস্ফোরণের লক্ষণ বুঝতে পারেনি।

সংবাদ সংস্থাটি বলেছে, 'ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন সরকারি বিশেষজ্ঞরা।'

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আগেই সাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে কী প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়।

ইরানের কোম প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হেডকোয়ার্টার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, কোম ও আশেপাশের এলাকার মানুষের জন্য বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই। এই প্রদেশে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত।

কোম এলাকার পার্লামেন্ট সদস্য মানান রাইসির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনায় হামলা ছিল 'ভাসাভাসা'।

'সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আমি বলছি, মিথ্যাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবির বিপরীতে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বেশিরভাগই কেবল ভূমিতে ছিল, যা পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে।'

মানান রাইসির তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে এসব বলেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago