মুশফিক-লিটনের ব্যাটে ভালো সেশন বাংলাদেশের

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে দ্বিতীয় দিনে ইনিংস খুব একটা লম্বা করতে পারেননি। অধিনায়ককে হারালেও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাসকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করছেন আরেক সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।

মঙ্গলবার গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪ উইকেটে ৩৮৩ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল টাইগাররা। অর্থাৎ এদিনের প্রথম সেশনে এক উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলেছে সফরকারীরা।

শান্ত বিদায়ের পর উইকেটে নেমে বেশ সাবলীল ব্যাট করতে থাকা লিটন ব্যক্তিগত ১৪ রানে একটি জীবন পেয়েছেন। থারিন্দু রাত্নায়াকের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেও ধরতে পারেননি পাথুম নিসানকা। এরপর থারিন্দুর টানা তিন বলে মারেন বাউন্ডারি। লাঞ্চের আগে ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

দারুণ ব্যাটিংয়ে আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুশফিক দেড়শ ছোঁয়ার কাছাকাছি রয়েছেন। যদিও তিনিও একটি জীবন পেয়েছেন। বোলারকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছেন। সুযোগ ছিল রানআউটেরও। তবে কোনো বিপদ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ১৪১ রানে অপরাজিত আছেন এই ব্যাটার।

এর আগে দিনের প্রায় শুরুতেই রিভিউ নিয়ে একবার বেঁচেছিলেন শান্ত। দিনের পঞ্চম ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর বল শান্তর প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটের কানা ছুঁয়েছে। তবে সেই স্বস্তি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

আসিথার পরের ওভারেই আউট হয়ে যান শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন ক্যারিয়ারের টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেন শান্ত। নিজের ইনিংস সাজান ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায়। আর তার বিদায়ে ভাঙে ২৬৪ রানের জুটি।

শান্তর বিদায়ের পর মাঠে নামেন লিটন। অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকের সঙ্গে হাল ধরেন দলের। শুরু থেকেই ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে দ্রুত দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। এরমধ্যেই জুটি ছাড়িয়েছে ৭৪ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago