নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে রহস্য রেখে দিলেন শান্ত

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বেশ কিছু দিন থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও এমন আভাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ অধিনায়ক। প্রতিপক্ষকে রহস্যের মধ্যেই রাখতে চান তিনি!

শান্ত মূলত চার নম্বরের ব্যাটার। মাঝেমধ্যে খেলেন তিন নম্বরেও। আগামীকাল যেই মাঠে হবে প্রথম টেস্ট, সেই কলম্বোতে সব শেষ সিরিজে অবশ্য তিন নম্বরে নেমে খেলেছিলেন ১৬৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। তবে ওপেনিংয়েও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।

এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজে মূলত দুইজন ওপেনার নিয়ে সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। বিকল্প ভাবনায় শান্তর নাম স্বাভাবিকভাবেই আসছে। এর আগে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করে চার ম্যাচের ছয় ইনিংসে ১৮.৮৩ গড়ে করতে পেরেছেন ১১৩ রান। যেখানে রয়েছে একটি ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।  

সোমবার গলে সংবাদ সম্মেলনে শান্তকে তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, 'আমার ব্যাটিংটা আসলে কোন জায়গায় হবে, এটা কালকেই বলতে চাই। কারণ, আমি চাই না আমার যে প্রতিপক্ষ আছে, তারা আগে থেকে ওই ধারণাটা পেয়ে যাক। কাল আমরা কী কম্বিনেশনে যাব, তার ওপর নির্ভর করে ১১ জনের দল সাজানো হবে।'

মূলত কম্বিনেশনের কারণেই শান্তর ব্যাটিং পজিশনে হেরফের হতে পারে বলে জানা গেছে। শান্তরও এমনই ইঙ্গিত। এর অন্যতম কারণ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ জ্বরে আক্রান্ত। শেষ পর্যন্ত তাকে না পেলে ব্যাটার কমিয়ে একজন বাড়তি বোলার নিয়ে খেলতে হতে পারে টাইগারদের।

এই প্রসঙ্গে শান্ত বললেন, 'এখনো মিরাজের শরীরটা খারাপ আছে, (তবে) উন্নতি করছে। ওর খেলা না–খেলার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। ওই জায়গাটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা একটা ভালো কম্বিনেশন নিয়ে নামতে পারব।'

তবে নিজের দল নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট অধিনায়ক, 'আমি দল নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। নির্বাচকেরা যেসব খেলোয়াড়ের নাম দিয়েছিলেন, আমি যাদের চেয়েছি, তারা সবাই দলে আছেন। এটি একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ফলাফল। যদি দলের ব্যালান্স দেখেন, তাহলে চারজন স্পিনার ও চারজন পেসার আছে, সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারে কিছু ব্যাকআপও রয়েছে। আমি মনে করি, প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনায় রেখে একাদশ গঠন করা সহজ হবে।'

'আমাদের হাতে অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—আমরা পরিকল্পনা মাঠে কতটা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারি এবং মাঠে কতটা ভালো খেলতে পারি। যদি তা করতে পারি, তাহলে এখান থেকে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি এখন খুব বেশি আগাম ভাবতে চাই না। আমাদের আগে ভালো শুরু করতে হবে, এরপর প্রয়োজন বুঝে বাকিটা ঠিক করা যাবে। এখন মূল বিষয় হলো—এই কম্বিনেশন দিয়ে কিভাবে ভালো খেলা যায়,' যোগ করেন শান্ত।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago