আল-আহলির সঙ্গে ড্র করল মেসির মায়ামি

প্রথমার্ধে দারুণ কিছু আক্রমণ করে আল-আহলি। এমনকি একটি পেনাল্টিও পেয়ে যায় তারা। পেনাল্টিসহ সেই সব আক্রমণই দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। আর দ্বিতীয়ার্ধে নায়ক আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল শেনায়ী। অবিশ্বাস্য সব সেভে হতাশ করেন লিওনেল মেসিদের। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে।

রোববার ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ডকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ও আল-আহলি গোলশূন্য ড্র করেছে। গোলরক্ষকদের দারুণ নৈপুণ্যেই গোল পাওয়া হয়নি কোনো দলের।

৩২ দলের টুর্নামেন্টে গ্রুপ 'এ'র লড়াইয়ে এদিন হার্ড রক স্টেডিয়ামে ৬০,৯২৭ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচের যোগ করা সময়েরও শেষের দিকে মেসির একটি শটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল মায়ামি। কিন্তু গোলরক্ষক শেনায়ীর হাতে লেগে বারে লেগে বেরিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে মায়ামির আরও দুটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা করে দেন আল-আহলি গোলরক্ষক। সবমিলিয়ে মেসি দু'বার বল পোস্টে লাগান।

তবে ম্যাচটি যেন দুই অর্ধের দুই গল্প বলছে — প্রথমার্ধে ছিল মিশরের শক্তিশালী ক্লাব আল আহলির দাপট, আর দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফেরে মায়ামি। কিন্তু ম্যাচে সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের মুহূর্তের দেখা আর পাওয়া গেল না, আর দুই দলই অবশেষে একটি গ্রহণযোগ্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে।

আহলি শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত, কিন্তু উস্তারি একের পর এক সেভ করে প্রতিপক্ষের সুন্দর কিছু আক্রমণ রুখে দেন। ম্যাচের ৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক চমৎকার এক প্রতিক্রিয়াশীল সেভে দলকে সমতায় রাখেন। বিরতির কিছু আগে পেনাল্টি পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ত্রেজেগে। স্পট কিক আটকে উস্তারি।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুম ভাঙে মায়ামির। বেশ গোছানো ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ফুটবল খেলতে থাকে, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা ম্যাচের ছন্দ নিজের হাতে তুলে নেন। মাঝামাঝি সময়ে তার একটি ফ্রি কিক খুব অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর মায়ামির আরও কিছু সুযোগ আসে।

ম্যাচের শেষ দিকে ফাফা পিকোল্ট গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। তার হেডার দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন আল আহলি গোলকিপার। অতিরিক্ত সময়ে আবারো নজর কাড়েন এই গোলরক্ষক — একে একে মেসি ও ম্যাক্সি ফ্যালকনের দুটি কর্নার থেকে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন। তাতে আর গোল পাওয়া হয়নি মেসিদের।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago