৪ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ৫৪ জনকে ‘পুশ ইন’

প্রতীকী ছবি

ভারত থেকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা ৫৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

তাদের মধ্যে পঞ্চগড়ে ১৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩ জন, মৌলভীবাজারে ১২ জন ও লালমনিরহাটে তিনজন আটক হয়েছেন।

বিজিবি পঞ্চগড় ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের পর মিস্ত্রীপাড়া ও পেদিয়াগজ সীমান্ত চৌকির (বিওপি) সদস্যরা ওই ১৬ জনকে আটক করেন।

এর আগে ভারতের মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা আটক হন এবং পরে তাদের বিএসএফ-১৩২ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষে তাদের বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুরুষের বয়স ২০ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে, ছয়জন নারীর বয়স ২৩ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে এবং চার শিশুর বয়স তিন থেকে আট বছরের মধ্যে।

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। আর বাকি ১২ জনের বাড়ি খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও যশোর জেলায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাঁপসার সীমান্ত থেকে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে বিজিবি দিনাজপুরের ৪২ ব্যাটালিয়ন।

তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, ১২ জন নারী ও সাত শিশু রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিচয় জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ চাপসার সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবি সদস্যরা সাম্প্রতিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান।

মৌলভীবাজারের বড়লেখার কুমারসাইল সীমান্ত দিয়ে ভারতে থেকে ১২ জনকে পুশ ইন করা হয়েছে। আজ ভোরে সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি তাদের আটক করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আজ সকালের দিকে বড়লেখা সীমান্তের কুমারসাইল এলাকা থেকে ১২ জনের একটি দলকে আটক করে বিজিবি। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী ও সাত শিশু রয়েছে। তারা বিজিবির কাছে নিজেদের রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় তারা ভারতে গিয়েছিলেন।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ৯০৫ নম্বর প্রধান সীমান্ত পিলারের এক নম্বর উপপিলারের কাছ থেকে তিন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী জানান, আট বছর আগে কাজের খোঁজে তারা অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাদের পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড়া সীমান্তের ৮৫৩ নম্বর ও বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সরদুবি সীমান্তের ৮৯১ নম্বর পিলারের কাছে আরও নয়জনকে পুশ ইনের চেষ্টা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় বিজিবি তা প্রতিহত করে। ওই নয়জন বর্তমানে সীমান্তের শূন্যরেখায় রয়েছেন।

বিজিবি ৬১ ব্যাটালিয়নের শ্রীরামপুর বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার জোবায়ের রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

'আমারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। তবে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Publish newspaper ads asking Hasina, Asaduzzaman to appear on June 24: ICT

Another accused, former IGP Mamun, is already under custody and was produced before the court today

1h ago