ক্রিকেট তার চার্ম হারাচ্ছে: তামিম

Tamim Iqbal
তামিম ইকবাল। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সম্প্রতি দেশের ক্রিকেট পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্টভাষায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ওপেনার তামিম ইকবাল। তার মতে, দেশের ক্রিকেট আজ এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে ক্রিকেট থেকে দৃষ্টি সরে, তার চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বোর্ডের রাজনীতি, পদ-পদবী আর ক্ষমতা নিয়ে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য।

গত দুই দিন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ নিয়ে অনেক নাটকই চলছে। শেষ পর্যন্ত সেই নাটক শেষে ফারুক আহমেদের জায়গায় নতুন বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে অনেক জল ঘোলা করেই বিদায় দেওয়া হয়েছে ফারুককে।

এমন অবস্থায় এক আন্তরিক বক্তব্যে তামিম বলেন, "বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, এটা হলো ক্রিকেটের বোর্ড একটা, ক্রিকেট বাদে সবকিছু হচ্ছে। কে আসবে, কে যাবে, কে প্রেসিডেন্ট হবে, কে হবে না, কে নির্বাচন করবে, কে করবে না। ঠিক আছে, এগুলো একটা অংশ। আজকে দেখেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে আসছে।'

এসব কাঁধে কাঁধ লাগানো রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশের চেয়ে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মূল খেলাটাকে বাঁচানো বলে মনে করেন তামিম,  "আমি একটাই অনুরোধ করবো, যারা আছেন বা যারা আসবেন ক্রিকেটটা নিয়ে একটু ভাবেন। কারণ ক্রিকেট তার চার্মটা হারাচ্ছে।"

শুধু জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নয়, তামিম মনে করেন গোটা ক্রিকেট কাঠামোতেই নেমে এসেছে দুর্বলতার ছায়া। ঘরোয়া লিগ থেকে শুরু করে যুব পর্যায়ের প্রতিভা পরিচর্যা—সব জায়গায় সমস্যা স্পষ্ট। তামিমের ভাষায়, "এই জিনিসটা মেনে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা ভুগছি। কারণ আমরা কোনো সময় এটা মেনে নেই না... ক্রিকেট বাদে আমি সবকিছু দেখছি, ক্রিকেটটা দেখছি না।"

"আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনার শুরুতে মেনে নিতে হবে আমরা ভুগছি। এরপর কীভাবে এখান থেকে এগিয়ে যেতে হবে, এটা নিয়ে ভাবেন। কে প্রেসিডেন্ট হবে, কাকে প্রেসিডেন্ট বানানো হচ্ছে, এগুলো আমার কাছে মনে হচ্ছে অগুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে আমরা বেশি সিরিয়াস," যোগ করেন তামিম।

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Over the past 11 months, 349 incidents of political violence took place across the country, BNP and its affiliated organisations were linked to 323 of these

10h ago