ইউনাইটেড ছাড়ার কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন ফার্নান্দেস

ভীষণ বাজে একটি মৌসুম কাটানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে লাগতে পারে আরেকটি বড় আঘাত। ইংলিশ ক্লাবটির অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেসকে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলাল দিয়েছে একটি লোভনীয় প্রস্তাব। সেটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন ৩০ বছর বয়সী পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার জানিয়েছে, ফার্নান্দেস ও আল হিলালের মধ্যে সবকিছু ঠিকমতো এগোলে আগামী সপ্তাহেই ইউনাইটেড ছাড়তে পারেন তিনি।

ফার্নান্দেসের প্রতিনিধিরা কিছুদিন আগে আল-হিলালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দলবদল সম্পন্ন হলে আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবেন তিনি। সৌদির আল-হিলালের গ্রুপে রয়েছে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, অস্ট্রিয়ার রেড বুল সালজবুর্গ ও মেক্সিকোর পাচুকা।

ফার্নান্দেস অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। এতে অনেকের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, তিনি সত্যিই ক্লাব ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

এই পরিস্থিতি নিয়ে রেড ডেভিলরা উদ্বিগ্ন নয় বলে জানা গেছে। যদিও দলটির কোচ রুবেন আমোরি কিছুদিন আগে বলেছেন, তিনি চান, ফার্নান্দেস ক্লাবে থাকুক। তবে ফার্নান্দেসের জন্য যে অর্থ পাওয়া যাবে, সেটা স্কোয়াড পুনর্গঠনের ভালো সুযোগ তৈরি করবে। কারণ, গুঞ্জন রয়েছে, ফার্নান্দেসের জন্য আল-হিলালের ৮ কোটি পাউন্ড খরচ করতে রাজী।

গত বছরের আগস্টে ইউনাইটেডের সঙ্গে আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেন ফার্নান্দেস। চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির শর্ত রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলারদের একজন। কিন্তু সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর প্রস্তাব গ্রহণ করলে তার আয় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বাড়বে।

এই মাসের শুরুতে চতুর্থবারের মতো ইউনাইটেডের মৌসুমসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে রেকর্ডে ভাগ বসান ফার্নান্দেস। সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ মৌসুমে তিনি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯ গোলের পাশাপাশি করেন ১৮ অ্যাসিস্ট।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিং লিসবন থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডে ইউনাইটেডে যোগ দেন ফার্নান্দেস। এখন পর্যন্ত ২৯০ ম্যাচে ৯৮ গোল করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago