ফাইনালে ওঠার পথে কোহলিদের নতুন কীর্তি

ছবি: এএফপি

এবারের আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার হলো ভীষণ একপেশে। লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা পাঞ্জাব কিংস পড়ল মুখ থুবড়ে। তাদেরকে অনায়াসে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়ল বিরাট কোহলি-রজত পতিদারদের দল।

বৃহস্পতিবার মুল্যানপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে বেঙ্গালুরুর। টস জিতে আগে তারা ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রতিপক্ষকে। তাল খুঁজে না পেয়ে ১৪.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু।

আইপিএলের প্লে-অফ বা নকআউটে পর্বে রান তাড়ায় সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড এটি। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক পতিদার যখন মুশির খানকে ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচের ইতি টানেন, তখনও বাকি ছিল ৬০ বল। আগের কীর্তিটি হয়েছিল গত আসরের ফাইনালে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৫৭ বল বাকি রেখে জিতে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন।

এই নিয়ে চতুর্থবার আইপিএলের ফাইনালে উঠল কখনও টুর্নামেন্টটির শিরোপা জিততে না পারা বেঙ্গালুরু। সবশেষ তাদেরকে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালের আসরেও রানার্সআপ হয়েছিল দলটি।

আইপিএলের শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন ইতিহাসের অন্যতম সের ব্যাটার কোহলি। তাই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার শিরোপা এখনও ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। সেই শূন্যতা ঘোচানোর আরেকটি সুযোগ পেলেন তিনি।

ফাইনাল নিশ্চিত করার পর সমর্থকদের আশা দিয়ে পতিদার বলেছেন, 'আমি আরসিবির ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা যেখানেই খেলতে যাই না কেন, তাদের উপস্থিতির কারণে মনে হয় যেন নিজেদের মাঠেই খেলছি। আমরা আপনাদের ভালোবাসি, আমাদেরকে সমর্থন যুগিয়ে যান। আর মাত্র একটি ম্যাচ এবং তারপর আমরা একসঙ্গে উদযাপন করব।'

উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে পথ দেখান ফিল সল্ট। এই ইংলিশ ওপেনার ২৭ বলে ৫৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এর আগে বোলিংয়ে নজর কাড়েন ম্যাচসেরা সুইয়াশ শর্মা ও চোট কাটিয়ে ফেরা অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড। দুজনই পান তিনটি করে উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago