‘আমি ক্রিকেট যোদ্ধা, দেশকে সেবা করতে চাই’, বিসিবির দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে আমিনুল

aminul islam bulbul

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে আসতে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশের প্রথম এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান নিজেই দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পেয়ে বিসিবিতে আসতে রাজী হয়েছেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রথমে পরিচালক ও পরে বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেখা যাবে তাকে।

বিসিবিতে আপনি আসতে যাচ্ছেন শোনা যাচ্ছে, সভাপতি পদে দেখা যাবে? 

আমিনুল: আমাকে কদিন আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একটা ভূমিকায় আসতে বলা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায় হবে না হবে সেটা এখনো জানি না।

প্রস্তাব কি ক্রীড়া পরিষদ থেকে দেওয়া হয়েছে?

আমিনুল:  হ্যাঁ (ক্রীড়া পরিষদ থেকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে)। উনাদের কথা দেওয়ার আগে আমি যেখানে চাকরি করি সেখানে মানে আইসিসির সঙ্গে কথা বলার ব্যাপার ছিলো। আমি বলেছি, আইসিসির কোন আপত্তি নাই। আমি অল্প সময়ের জন্য আসব, তারপর হয়ত আইসিসিতেই ফিরে যাব। এটা কোন ছুটি না, আমি ত বেতন নেব না আইসিসি থেকে তখন। বেতন ত্যাগ করব। দেশকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছিলো...

আমিনুল: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়ে কোন আলাপ হয়নি। বেতন নিয়ে তো প্রশ্নই উঠে না। সভাপতি হয়ে কেউ তো বোর্ডে ঢুকেনা। আগে ঢুকে পরিচালক হয়ে।সভাপতি হয়ে কেউ তো বোর্ডে ঢুকেনা। আগে ঢুকে পরিচালক হয়ে। পরিচালক হিসেবে হয়ত ঢুকাবে। তারপর বাকিটা।

বিসিবিতে আসতে রাজী কেন রাজী হলেন?

আমিনুল: আবেগীয় কথা বলতে হচ্ছে। আমি তো ক্রিকেট যোদ্ধা। দেশকে সেবা করতে চাই। এটাই লক্ষ্য। আমার বয়স এখন ৫৭। আমি ১৮ বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছি। ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট নিয়ে কাজগুলো করছি বিভিন্ন দেশে। সুতরাং  আমি যদি দেশকে সেবা দিতে না পারলাম তাহলে কী লাভ। এখন সত্যিকারের ডাক পেয়ে চলে এসেছি।

পরিচালক আমি দীর্ঘমেয়াদী করার ইচ্ছা নাই। এটা বারবার বলছি কারণ প্রলোভিত হয়ে যেন না বলি যে আগে বলি নাই। ক্রিকেট নিয়ে যে কথাগুলো বলতাম সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।

শর্ট টার্মে আসলে কতটা কি করতে পারবেন?

আমিনুল: আমি একটা দিক নির্দেশনা দেখিয়ে যেতে পারব এটা আশা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago