ইংল্যান্ড দলে নেই সিটি-ইউনাইটেডের কোনো খেলোয়াড়

ফাইল ফটো

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি; ইংল্যান্ডের দুই শক্তিশালী দল। তবে ইংল্যান্ডের আসন্ন জুন মাসের ম্যাচগুলোর জন্য ঘোষিত জাতীয় দলে এই দুই দলের একজন খেলোয়াড়ও রাখা হয়নি, যা ইংলিশ ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এমনকি নেই ইউরোপা লিগ জয়ী টটেনহ্যামের কোনো খেলোয়াড়ও।

তবে এক অর্থে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ধরা যেতে পারে কাইল ওয়াকারকে। এসি মিলানে খেললেও মূলত তিনি সিটির খেলোয়াড়। ধারে খেলছেন ইতালির ক্লাবটিতে। সিটির ফিল ফোডেন ও ইউনাইটেডের কোবি মাইনুকে রাখা হয়নি এই দলে। সর্বাধিক ছয় খেলোয়াড় রয়েছেন চেলসি থেকে।

সৌদি ক্লাব আল-আহলিতে খেলা ব্রেন্টফোর্ডের সাবেক ফরোয়ার্ড ইভান টনি ফিরেছেন দলে। ২৯ বছর বয়সী টনি শেষবার ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন ইউরো ২০২৪ ফাইনালে। যেখানে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড। ব্রেন্টফোর্ড ছেড়ে আল-আহলিতে পাড়ি জমানোর পর এই প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেলেন তিনি। সৌদি লিগে চলতি মৌসুমে ৪২ ম্যাচে ২৮ গোল করে কোচ থমাস টুখেলের নজর কাড়েন এই স্ট্রাইকার।

আগামী ৭ জুন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এরপর ১০ জুন নটিংহ্যামের সিটি গ্রাউন্ডে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে সেনেগালের বিপক্ষে।

এদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামকেও দলে রাখা হয়েছে, যদিও তিনি ক্লাব বিশ্বকাপের পরে কাঁধের অস্ত্রোপচারে যাবেন বলে জানা গেছে। এই চোট তিনি ২০২৩ সাল থেকেই ভোগ করছেন। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন তারকা রয়েছেন দলে—এর মধ্যে রয়েছেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), কোল পামার (চেলসি) এবং কনর গ্যালাঘার (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ)।

সম্পূর্ণ ইংল্যান্ড স্কোয়াড

গোলরক্ষক:

জর্ডান পিকফোর্ড (এভারটন), ডিন হেন্ডারসন (ক্রিস্টাল প্যালেস), জেমস ট্র্যাফোর্ড (বার্নলি)

ডিফেন্ডার:

ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড (লিভারপুল), ড্যান বার্ন (নিউক্যাসল), ট্রেভো চালোবা (চেলসি), লেভি কোলউইল (চেলসি), রিস জেমস (চেলসি), এজরি কনসা (অ্যাস্টন ভিলা), মাইলস লুইস-স্কেলি (আর্সেনাল), কাইল ওয়াকার (এসি মিলান, ম্যানসিটি থেকে ধারে)

মিডফিল্ডার:

জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রিচি এজে (ক্রিস্টাল প্যালেস), কনর গ্যালাঘার (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ), মরগান গিবস-হোয়াইট (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), জর্ডান হেন্ডারসন (আয়াক্স), কার্টিস জোন্স (লিভারপুল), কোল পামার (চেলসি), ডেক্লান রাইস (আর্সেনাল), মরগান রজার্স (অ্যাস্টন ভিলা), অ্যান্থনি গর্ডন (নিউক্যাসল)

ফরোয়ার্ড:

হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ননি মাদুয়েকে (চেলসি), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), ইভান টনি (আল-আহলি), অলি ওয়াটকিন্স (অ্যাস্টন ভিলা)

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago