৯ জুন যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্টার ফাইল ফটো

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন যুক্তরাজ্য সফর করবেন। এই সফরে তিনি রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, লন্ডন সফরের বিস্তারিত সময়সূচি ও কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, এই সফরে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হবেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অন্যতম প্রধান গন্তব্য যুক্তরাজ্য।

ঢাকা থেকে এক কূটনৈতিক সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চীন সফরের পর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হবে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি সফর।'

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন এবং পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার পরিবারও যুক্তরাজ্যে রয়েছে।

জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন তিনটি পৃথক মামলা করেছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী লন্ডন, দুবাই ও নিউইয়র্কে বিলাসবহুল সম্পত্তি কিনেছেন ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করে। কিন্তু, বাংলাদেশে আয়কর রিটার্নে তিনি বিদেশে থাকা এসব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি।

এক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়ায় তা ফেরত আনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বর্তমানে রোহিঙ্গা সহায়তায় অর্থায়ন কমে যাওয়ায়—বিশেষ করে ইউএসএইড বৈশ্বিকভাবে অর্থায়ন কমানোর পর—ঢাকা যুক্তরাজ্যকে নতুন অর্থায়নের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করবে।

যুক্তরাজ্যে ছয় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক রয়েছেন। তারা এই দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

সূত্র জানায়, ড. ইউনূস বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রবাসী এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে চান।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago