নটরডেম কলেজের ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: নটরডেম কলেজের সৌজন্যে

রাজধানী ঢাকায় নটরডেম কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন—দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) ও প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত (১৮)। ধ্রুবর এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (মতিঝিল জোন) হুসাইন মুহাম্মদ ফারাবী দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ধ্রুবর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, দুপুর ৩টার দিকে তিনি কলেজের 'ফাদার টিম' ভবনের তৃতীয়তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন।

হাসপাতালে ধ্রুবর বাবা বাণী ব্রতদাস চঞ্চল জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে। ঢাকায় তারা গোপীবাগ এলাকায় থাকেন।

'কোনো অভিভাবকদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ, সে কারণে আমি গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম আমার ছেলে রক্তাক্ত, সহপাঠীরা তাকে রিকশায় তুলছে,' বলেন চঞ্চল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুবকে মৃত ঘোষণা করেন।

'আমাদের টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল, সেই কারণে আমরা কলেজে গিয়েছিলাম,' বলেন ধ্রুবর সহপাঠী রাগীব মৃধা।

তবে ধ্রুব কীভাবে পড়ে গেছেন তা রাগীব জানাতে পারেননি।

ফারাবী বলেন, 'আমরা কলেজ পরিদর্শন করেছি। অনেকের কাছে এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছি। কয়েকজন বলেছেন, তারা ধ্রুবকে ছয়তলা ভবনের তৃতীয়তলায় বারান্দার রেলিংয়ে বসেছিলেন।'

'তবে কীভাবে তিনি পড়ে গেছেন সে বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। ওই শিক্ষার্থী পড়ে যাওয়ার পর সবাই লক্ষ করেন। আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে,' বলেন তিনি।

এদিকে রাজধানীর কমলাপুর এলাকার একটি বাসা থেকে আরাফাত (১৮) নামে নটরডেম কলেজের প্রথমবর্ষের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরাফাতের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে সহপাঠীরা আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে আরাফাতের দুই সহপাঠী বিশ্বনাথ চৌধুরী ও রিমন চৌধুরী জানান, তারা তিনজন নটরডেম কলেজের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী। কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের ৩/১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে তারা।

দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে যে যার রুমে বিশ্রাম করছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তারা আরাফাতের রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ডাকার পরও সাড়া না পাওয়ায় ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তারা দেখতে পান, আরাফাত গলায় ফাঁস দিয়েছেন, জানান তারা। 

দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ফারাবী বলেন, 'আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ওই শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

10h ago