২০২৮ সাল পর্যন্ত রিয়ালের কোচ আলোনসো, জানালেন রোমানো

ছবি: বায়ার লেভারকুসেন

জাবি আলোনসোর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার জোরাল গুঞ্জন চলছে বেশ কিছু ধরে। সফলতম স্প্যানিশ ক্লাবটির পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা এখনও না আসলেও প্রখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানালেন, চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। অর্থাৎ আলোনসোই নিতে যাচ্ছেন রিয়ালের দায়িত্ব।

কোনো খেলোয়াড় বা কোচ দলবদল করে পরবর্তীতে কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন সেটা শতভাগ নিশ্চিত হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'হেয়ার উই গো' লিখে পোস্ট করে থাকেন রোমানো। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ভীষণ পরিচিত এই শব্দগুলো ব্যবহার করে তিনি সোমবার জানিয়েছেন, তিন বছরের জন্য রিয়ালের কোচ হতে যাচ্ছেন আলোনসো। ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দলটিতে থাকবেন তিনি।

রোমানো আরও জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে রিয়ালকে কোচিং করানো শুরু করবেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলোনসো। ফলে ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে লস ব্লাঙ্কোদের ডাগআউটে।

রিয়ালে আলোনসো স্থলাভিষিক্ত হবেন কার্লো আনচেলত্তির। রোমানো যোগ করেছেন, চলতি সপ্তাহ থেকেই বর্ষীয়ান ইতালিয়ান কোচের বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাকে বিদায় জানাতে বিশেষ একটি আয়োজনও রাখা হবে। যদিও তার সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে রিয়ালের, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগেই তাকে সরে যেতে হচ্ছে।

গত শুক্রবার জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেন ছাড়ার ঘোষণা দেন আলোনসো। গত মৌসুমে তার অধীনে বুন্ডেসলিগায় ইতিহাস গড়ে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতেছিল দলটি। বিদায়ী বার্তায় তিনি বলেন, 'এই স্টেডিয়ামে আমি অনেক আবেগঘন সময় কাটিয়েছি এবং এখানে আমি যেভাবে গড়ে উঠেছি, সেটা আজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।'

২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন আলোনসো। দলটির হয়ে লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এছাড়া, ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে পাঁচ বছর ও জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে তিন বছর ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন আলোনসো। এরপর ২০২২ সালে লেভারকুসেনের হয়ে শীর্ষ পর্যায়ে কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago