ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়া জাহাজে বোমা হামলা

ছবি: রয়টার্স

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলায় জাহাজটি বিকল হয়ে গেছে বলে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

আয়োজক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে হামলার জন্য দায়ী করেছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টার সরকার জানিয়েছে, জাহাজ এবং ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনার সময় তুর্কি নাগরিকরা জাহাজে ছিলেন এবং তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তারা মাল্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন।

'আমরা এই বেসামরিক জাহাজে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই,' বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

এতে আরও বলা হয়, 'যত দ্রুত সম্ভব হামলার বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটন এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা চালানো হবে।'

সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেটা থানবার্গ রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি মাল্টায় ছিলেন এবং ইসরায়েলের অবরোধ ও বোমা হামলার শিকার গাজার সমর্থনে ফ্রিডম ফ্লোটিলার পরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তার জাহাজটিতে ওঠার কথা ছিল।

এনজিওটি অন্ধকারে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে তাদের একটি জাহাজ, কনসায়েন্সে আগুন দেখা যাচ্ছে। ফুটেজে জাহাজের সামনে আকাশে আলো এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, 'আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন; যার মধ্যে গাজার চলমান অবরোধ এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের বেসামরিক জাহাজে বোমা হামলার বিষয়ে জবাবদিহি করতে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের তলব করা উচিৎ।'

জাহাজে ১২ জন নাবিক ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন জানিয়ে মাল্টা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সবাই সুস্থ আছেন। জাহাজটিকে সহায়তা করতে কাছাকাছি থাকা একটি টাগ বোটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও মাল্টা সরকারের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এনজিওর মুখপাত্র কাওইমে বাটারলি বলেছেন, যখন জাহাজটি অন্য একটি জাহাজ থেকে কর্মীদের তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন হামলা হয়।

তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক কারণে জাহাজটি বন্দরে যাওয়ার পরিবর্তে সমুদ্রেই স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

থানবার্গ বলেছেন, 'হামলায় জাহাজে একটি বিস্ফোরণ ও বড় ধরনের ক্ষতি করেছে, যার ফলে মিশন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago