কোভিড প্রকল্পের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটে তালা, আটকা কর্মকর্তারা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটে অনশনরত স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বকেয়া পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন কোভিড-১৯ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

এতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারী ও কর্মকর্তারা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দলনরত কয়েকশ স্বাস্থ্যকর্মী অধিদপ্তরের গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

আন্দোলনরত স্বাস্থ্যকর্মী আবদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রোববার থেকে আমরা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি। সোমবার থেকে অনশন শুরু করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে আজ গেটে তালা দিয়েছি।'

এক পরিচালক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সবাই অফিসে আটকা পড়েছি।'

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য সরকার ৩৯৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা।

পরবর্তীতে, তাদের ইআরপিপি প্রকল্পের অধীনে স্থানান্তরিত করা হয় এবং মেডিকেল অফিসার, নার্স এবং টেকনোলজিস্ট সহ আরও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়। এতে মোট কর্মীর সংখ্যা ১,১৫৪ জনে উন্নীত হয়। বর্তমানে, প্রকল্পের অধীনে ১,০০৪ জন কাজ করছেন।

আন্দোলনকারীদের একজন মইন উদ্দিন রোববার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা জানুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছি না। এছাড়াও, চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। তাই আমরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago