‘যারা এক ম্যাচ দেখে সমালোচনা করে তারা খেলা বোঝে না’

Taijul Islam
উইকেট নিয়ে তাইজুল ইসলামের উল্লাস। ছবি: বিসিবি

সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হতাশার হারের মাঝে তাইজুল ইসলামও ছিলেন বিবর্ণ। মেহেদী হাসান মিরাজ দশ উইকেট নিয়ে চেষ্টা চালালেও তাইজুলের কাছ থেকে সেরাটা পায়নি বাংলাদেশ। তাইজুল নিজেও মানছেন তিনি প্রত্যাশার ধারে কাছে ছিলেন না। সিলেটে বাজে খেলায় যারা সমালোচনা করেছেন চট্টগ্রামে পাঁচ উইকেট নিয়ে তাদের আবার ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।

সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে তাইজুল ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভার বল করে ৭০ রানে পান ২ উইকেট। তার এমন নিষ্প্রভ থাকায় ভুগে দল। তবে দ্বিতীয় টেস্টেই জ্বলে উঠেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দারুণ অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ধস নামে তার স্পিন ঘূর্ণিতে।

রোববার চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৬তম বারের মতন পাঁচ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। এক পর্যায়ে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিলো ২ উইকেটে ১৭৭ রান, সেখান থেকে দিনশেষে সফরকারীরা করেছে ৯ উইকেটে ২২৭। পুরো দিনে

২৭ ওভার বল করে ৫ উইকেট নিতে তাইজুল দেন স্রেফ ৬০ রান।

প্রথম দিনের খেলা শেষে শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ ফিরেছে দাপুটে অবস্থানে। সিলেটে বাজে খেলার পর চট্টগ্রামে চেনা রূপে ধরা দিয়েছেন তাইজুলও। বাঁহাতি স্পিনার দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে জানালেন আগের টেস্টে খারাপ করা পুড়াচ্ছিল তাকে, 'অবশ্যই সন্তুষ্টির এটা একটা বিষয় (চট্টগ্রামে ছন্দে ফেরা)।  কারণ একটা খেলোয়াড় যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলবে… তারপর সিলেটে যেমন বল করেছি সেটা ভালো জিনিস না। তারপরেও ফিরে এসেছি এটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার দলকে সাহায্য করেছি।'

নিজের সেই বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমালোচনাকে আবার এক হাত নিলেন তিনি, 'আমার মনে হয় এতগুলো টেস্ট খেলার পর একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।'

Comments

The Daily Star  | English

3 die of dengue as daily hospitalisations hit record high this year

Nearly 500 patients admitted in 24 hours as total cases rise to 12,763

1h ago