যেসব সংস্কার ইসির ক্ষমতার মধ্যে আছে, সেগুলো কমিশন বাস্তবায়ন করবে: সিইসি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, যেসব সংস্কার আশু প্রয়োজনীয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতার মধ্যে আছে—সেগুলো কমিশন নিজেরাই বাস্তবায়ন করবে। আর যেসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত, সেগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন সিইসি।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, 'কিছু সংস্কারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত, এগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এ ধরনের যেসব সংস্কারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত, সেগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করবে।'

আজকের বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ইসি কতটা বাস্তবায়ন করতে পারল তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসিকে অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতা করতে চায় বলে জানান তিনি।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, 'তারা আমাদের নেক্সট পার্লামেন্টরি ইলেকশনের প্রিপারেশন নিয়ে জানতে চেয়েছেন। কী কী রিফর্ম হচ্ছে আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা সাহায্য চাইলে দে আর রেডি টু সাপোর্ট আস। শি অ্যাশিউরড আস অল পসিবল নেসেসারি সাপোর্ট।'

'ভোটার তালিকার কাজ আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। আমরা প্রক্রিয়ারমেন্টের কাজ শুরু করেছি। সংসদীয় সীমানা পুনঃনির্ধারণের যে ইনিশিয়েটিভ আমরা নিয়েছি তা তাকে জানিয়েছি,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'দলের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি পরিবর্তন করা হচ্ছে—তা জানিয়েছি। নির্বাচনের জন্য যত প্রয়োজনীয় কাজ আছে, সেগুলোর বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারকে আমরা জানিয়েছি।'

সুসান রাইলি, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আমার অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।'

'আমরা যতটা সম্ভব আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাব,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago