মিয়ানমারে পুড়ল ৬০ হাজার খাতা, আবারও দিতে হবে পরীক্ষা

মিয়ানমারে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে গেছে ৬০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার খাতা। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আবারও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

গত ২৮ মার্চ সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের অসংখ্য ভবন ধসে পড়ে। মোট জনসংখ্যার দিক দিয়ে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাণ হারান তিন হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ।

ভূমিকম্পের সময় মান্দালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। এতে ৬২ হাজার ৯৫৪ হাইস্কুল শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা পুড়ে যায়। তখনো খাতা দেখে নম্বর দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি।

দুর্যোগের পর দেশটির সামরিক সরকার এই তথ্য জানিয়েছিল।

দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, 'ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট আগুনে পরীক্ষার খাতাগুলো পুড়ে গেছে। আমরা জুনের ১৬ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার আয়োজন করব।'

মিয়ানমারের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাই নির্ধারণ করে তারা ভবিষ্যতে কোন বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করবে।

গত বছর দেশজুড়ে এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়।

সব মিলিয়ে, মান্দালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুনে শিক্ষার্থীদের তিন লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি নথি নষ্ট হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই মান্দালায় ও সাগাইং অঞ্চলের বাসিন্দা।

গত মার্চের ভূমিকম্পে মান্দালায়, সাগাইং ও কাচিন অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতি হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ৬০ হাজার মানুষ তাঁবুতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। জনজীবন বিপর্যস্তপ্রায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইউনিসেফের হিসাবে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ২৭ লাখ শিশুর বাস।

 

Comments

The Daily Star  | English

Farmers happy with the absence of smuggled cattle in Eid bazaars

This time, most consumers prefer medium-sized local cows over the others

19m ago