গুমে জড়িতদের বিচার দাবিতে ‘মায়ের ডাক’র মানববন্ধন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্মারকলিপি

রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেটে ‘মায়ের ডাক’র মানববন্ধন। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং 'আয়নাঘর' পরিচালনায় জড়িত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন 'মায়ের ডাক'।

আজ রোববার দুপুরে তারা এই স্মারকলিপি জমা দেন।

এর আগে, রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেটে মানববন্ধন করেন তারা।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

স্মারকলিপিতে 'মায়ের ডাক' যে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে, সেগুলো হলো-

'আয়নাঘর' ও গুম-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই অপরাধীরা দেশের সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে।

খুন, গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে হবে।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

অভিযুক্ত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের পদ থেকে অপসারণ এবং তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারিক তদন্তের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবি, সিটিটিসির সব সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

'আয়নাঘর' সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে প্রমাণ নষ্ট বা গোপন করা না যায়। প্রমাণ ধ্বংসে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভবিষ্যতে গুম, নির্যাতন ও গোপন বন্দিশালার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং সংবিধান ও মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার আনতে হবে।

গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

7h ago