'জিম্বাবুয়ে সিরিজ হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু'

টেস্ট ক্রিকেটে খুব অল্প সময়েই নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। সামনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ, আর সেই সিরিজকে সামনে রেখে নিজেদের ক্যারিয়ারে গতি আনার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন জয় ও দলের অন্যান্য তরুণরা। 

দ্য ডেইলি স্টারের আব্দুল্লাহ আল মেহদীর সঙ্গে আলাপচারিতায় ২৪ বছর বয়সী এই ওপেনার নিজের ক্যারিয়ার, দৃষ্টিভঙ্গি ও আসন্ন সিরিজ নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের নির্বাচিত অংশ নিচে তুলে ধরা হলো:

দ্য ডেইলি স্টার: টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আপনার অনুভূতি কেমন? আর জিম্বাবুয়ে সিরিজ কীভাবে নিতে যাচ্ছেন?

মাহমুদুল হাসান জয়: দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের। আমি যে কয়টি টেস্ট খেলেছি, কিছুতে ভালো ফল এসেছে, কিছুতে আমরা ভালো করতে পারিনি। জিম্বাবুয়ে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য টেস্ট দলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও, আমাদের ম্যাচগুলোতে আধিপত্য দেখিয়ে সিরিজ জিততে হবে।

ডেইলি স্টার: এই সিরিজে কি দল একটু বেশি স্থিতিশীলতা খুঁজবে বলে মনে করছেন?

জয়: আসলে শেষবার যখন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলাম, তখনও প্রায় একই রকম দল ছিল। মুশফিক ভাই ব্যক্তিগত কারণে ছিলেন না, শান্ত ভাই ইনজুরিতে ছিলেন। গত দুই বছর ধরে এটাই মূলত আমাদের দল। দলটা গুছানো আছে। এই সিরিজে ভালো করতে পারলে সামনে যে বড় সিরিজগুলো আছে, সেগুলোর আগে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। এটা হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা শুরু।

ডেইলি স্টার: আপনি কি মনে করেন, এই সিরিজ আপনার নিজের জন্যও একটা বড় সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার?

জয়: অবশ্যই এটা ওপেনারদের জন্য ভালো পারফর্ম করার সুযোগ, যাতে আমরা আমাদের জায়গা পাকা করতে পারি এবং নির্বাচকরা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। এটা চাপ নেওয়ার ব্যাপার না, বরং মাঠে নেমে খেলাটা উপভোগ করার ব্যাপার।

ডেইলি স্টার: আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, কিন্তু এখনও ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। নিশ্চয়ই এবার একটা বড় ইনিংসের অপেক্ষায় আছেন?

জয়: হ্যাঁ, দেশের মাটিতে সেঞ্চুরি করতে পারলে দারুণ লাগবে। বিদেশে যখন সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখন সেটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত ছিল। যদি এখানেও তেমন কিছু করতে পারি, খুব ভালো লাগবে।

ডেইলি স্টার: আপনার ব্যাটিংয়ে দেখা যায় আপনি বেশিরভাগ বল খেলার চেষ্টা করেন। একটা ইনিংস গড়ার সময় কী ভাবেন?

জয়: নতুন বল দুদিকে সুইং করে, তাই সেটা বাঁচানোই প্রথম লক্ষ্য। যদি সেটা সামলে নিতে পারি, তাহলে খেলাটা সহজ হয়ে যায়। আমি প্রথম ১৫-২০ ওভার টিকে থাকার দিকেই বেশি মনোযোগ দিই, এরপর বড় ইনিংসের দিকে এগোই।

ডেইলি স্টার: টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ভেঙে পড়া একটা নিয়মিত দৃশ্য। আপনি কি মনে করেন ওপেনারদের অবদান এই সমস্যা কাটাতে পারে?

জয়: হ্যাঁ, ওপেনারদের দায়িত্ব নিতে হবে। বড় দলের বিপক্ষে খেললে তারা খুব একটা সুযোগ দেয় না। তাই টপ অর্ডার ভেঙে পড়লে চাপ পুরোপুরি মিডল অর্ডারের ওপর পড়ে যায়। ওপেনাররা যদি ভালো শুরু এনে দিতে পারে, তাহলে মিডল অর্ডারও ভালো খেলতে পারে, বড় স্কোর দাঁড় করানো সম্ভব হয়। আমাদের বোলিং আক্রমণের কথা বিবেচনা করলে, টপ-অর্ডাররা ভালো ব্যাট করলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারব।

ডেইলি স্টার: আপনি কি মনে করেন, মাউন্ট মঙ্গানুই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ এই টেমপ্লেটেই খেলতে চাইছে?

জয়: হ্যাঁ, এটা ঠিক। সেখানেও টপ অর্ডার ভালো শুরু দিয়েছিল, এরপর মিডল অর্ডার খেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল, আর আমরা ম্যাচ জিতেছিলাম।

ডেইলি স্টার: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলে হঠাৎ টেস্টে ফেরাটা কেমন চ্যালেঞ্জের?

জয়: না, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। ম্যাচের সাত দিন আগেই আমরা চলে যাচ্ছি, তাই প্রস্তুতির জন্য সময় পাচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

48m ago