বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, মহাসড়কে মরদেহ আটকে বিক্ষোভ 

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে মরদেহ আটকে বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী। 

আজ শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ফিরোজ হ্যাচারির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নয়ন ইসলাম (২৫) ও রনি (২৬) কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মী। সকালে দুর্বাচারা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। সেসময় মোটরসাইকেলটিতে তিনজন ছিলেন। আহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, গড়াই পরিবহনের বাসটি কুষ্টিয়া শহর থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি দুর্বাচারা থেকে শহরের দিকে আসছিল। পথিমধ্যে জিএসএম কারখানার সামনে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায় বাস। 

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই কোম্পানির বাস এই সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলার জন্য পরিচিত। গড়াই বাস নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটায়। 

তারা বলেন, এবার যতক্ষণ না বাসের মালিক এখানে উপস্থিত হয়ে নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন, ততক্ষণ সড়ক আটকে রাখা হবে। কোনো ধরনের যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। 

ছবি: স্টার

ঘটনাস্থলে থাকা চৌরহাস হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) জয়দেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধারে বাধা দিচ্ছেন। তাদের দাবি বাসের মালিককে এখানে হাজির করতে হবে।'

অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বটতৈল মোড়ের দুই পাশে অন্তত আট কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ বাসের যাত্রী নেমে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। 

খুলনাগামী বাসের যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, 'আমাকে নিয়মিত অফিসের কাজে খুলনা-কুষ্টিয়া যাওয়া-আসা করতে হয়। আজকাল প্রায়ই সড়ক অবরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে, এটা যন্ত্রণার।'

সড়ক অবরোধের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর শুনেছি। যোগাযোগ শুরু করেছি আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English
us tariff impacts bangladesh synthetic shoe exports

US tariff threatens booming synthetic shoe exports

The country’s growing non-leather footwear industry now faces a major setback as a steep new tariff from the United States threatens its growth

14h ago