কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিলে ভোট চুরির অভিযোগে জেলা কার্যালয় ঘেরাও

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও করেন সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার ও তার কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: আনিস মন্ডল/স্টার

কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার ও তার কর্মী-সমর্থকেরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন বিএনপির জেলা কার্যালয়ে কয়েকশ' নেতাকর্মী অবস্থান নেন এবং নির্বাচনের কারচুপির প্রতিবাদে স্লোগান দেন। তারা কারচুপির জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে দায়ী করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা গোলাম কবির, মেজবাউর রহমান পিন্টু, মকছেদুল হক কল্লোলসহ অনেকে।

এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কারচুপির নির্বাচন বাতিল ও পুনরায় ভোটের দাবিতে তারা কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।

তিনি বলেন, 'তাদেরকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান না করলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।'

গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এরপরই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার দাবি তোলেন কাজল মাজমাদার। পরদিন শনিবার পুনর্গণনা শেষে কাজলের ভোট সংখ্যা চার বেড়ে ৫৯৯ হয়। অন্যদিকে জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১২।

পুনর্গণনার ফল প্রত্যাখ্যান করে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন কাজল মাজমাদার। সেখানে তিনি বলেন, 'এই অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি।'

ওইদিন সংবাদ সম্মেলন চলাকালে খবর আসে, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের টয়লেটে বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সার্বিক অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, 'যেসব অভিযোগে তারা আন্দোলন করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমনকি টয়লেটে ব্যালট পেপার পাওয়ার যে নাটক তারা সাজিয়েছেন, তার রহস্যও উন্মোচিত হয়েছে। শিগগিরই আমরা গণমাধ্যমে সেসব প্রমাণ তুলে ধরব।'

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

23m ago