ডি ব্রুইনার পরিবর্তে ভার্টজকে চান গার্দিওলা

শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। শেষ হচ্ছে ১০ বছরের পথচলা। তার এই সময়ের মধ্যেই ক্লাবটি তাদের সেরা সাফল্য পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই মিডফিল্ডারের অভাব পূরণ করা বেশ কঠিন তাদের জন্য। তবে তার শূন্যতা পূরণে জার্মান লিগে আলো ছড়ানো ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে পছন্দ সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার।

সম্প্রতি বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলিমেইল তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডি ব্রুইনার জায়গায় জার্মান মিডফিল্ডার ভার্টজকে চাইছে সিটি। ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনার মতো ঠিক একই রকম গতিময়তা দিতে পারবেন বলে মনে করছে ক্লাবটি। যদিও ভার্টজকে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার সম্ভাব্য খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল সাম্প্রতিক সময়ে।

বায়ার লেভারকুজেনের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা এই মিডফিল্ডার শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছেন। গত মৌসুমে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরাজিত থেকে বুন্দেসলিগা শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ভার্টজ। ৫৭ ম্যাচে ৪১টি গোল অবদান রেখেছেন (গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে), এবং বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর তরুণ খেলোয়াড়দের একজন হয়ে উঠেছেন।

ভার্টজের প্রতি ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোর আগ্রহ তাই অবাক করার মতো নয়। এরমধ্যেই ডি ব্রুইনার আদর্শ উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বেলজিয়ান তারকাও এক সময় জার্মানিতে উজ্জ্বল ছিলেন—উলফসবুর্গকে ডিএফবি পোকাল জেতাতে ও বুন্দেসলিগায় দ্বিতীয় স্থানে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, এরপর তিনি ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন।

সিটিতে এখন পর্যন্ত ৪১৩টি ম্যাচ খেলেছেন ডি ব্রুইনা। যেখানে ১০৬টি গোলের পাশাপাশি ১৭৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন প্রতিটি সম্ভাব্য শিরোপা।

দি ব্রুইনেকে কি আদৌ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব কি-না—এমন প্রশ্নে কোচ গার্দিওলা পরিচিত ভঙ্গিতেই উত্তর দিয়েছেন, 'এই ধরনের খেলোয়াড়দের প্রতিস্থাপন করা যায় না। এই সম্পর্কগুলো, এই সংযোগগুলো—ম্যানেজার, সতীর্থ ও ভক্তদের জন্য—বিদায় জানানো খুব কঠিন।'

'আমি চাইতাম ভিনসেন্ট (কম্পানি) চিরকাল এখানে থাকুক, সের্হিও (আগুয়েরো) যেন থাকেন, এখন কেভিনের ক্ষেত্রেও তাই। এটা ভক্তদের জন্য একটা ধাক্কার মতো। তবে তারা মনে করবে কতটা সৌভাগ্যবান ছিল তারা এত বছর ধরে এমন একজন খেলোয়াড়কে পেয়ে, যিনি সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। কেভিন চিরকাল আমার মনে থাকবে, তাকে কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না,' যোগ করেন গার্দিওলা।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

2h ago