ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ আটক ১

ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশন থেকে ১৩০টি ট্রেনের টিকিটসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আটক করা হয় এবং সন্ধ্যায় দিনাজপুর জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ শুক্রবার পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'আটক সাজেদুর রহমানের (২৮) বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে। আটক করার সময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৪টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। তিনি নৌবাহিনীর সদস্য হিসেবে খুলনার বিএনএস পদ্মা ইউনিটে ল্যান্স করপোরাল পদে কর্মরত বলে আমরা জানতে পেরেছি।'
হাসান শিহাবুল ইসলাম আরও বলেন, 'তার কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখের ১০৫ টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, মোবাইলে ২৫টি টিকিটের অনলাইন কপিও পাওয়া গেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তার কথোপকথনের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। রেলওয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সাজেদুর রহমান। গতকাল সকাল ১০টায় ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে টিকিট চেকিংয়ের সময় ট্রেনের টিটি তার কাছে টিকিট দেখতে চান। সাজেদুর যে টিকিট দেখান, তাতে ২২ জনের আসন নম্বর ছিল এবং টিকিটের গায়ে সরকারি বাহিনীর টিকিট, বিক্রয় নিষিদ্ধ লেখা ছিল। এতে সন্দেহ হলে তাকে জিআরপি থানায় নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সাজেদুর রহমান স্বীকার করেন, তিনি টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত। এসময় তার কাছ থেকে ২১ থেকে ২৫ মার্চের বিভিন্ন ট্রেনের ১০৫টি আসনের টিকিট জব্দ করা হয়। যার মধ্যে দুটি টিকিট হার্ড কপি এবং ২৫টি অনলাইন কপি ছিল। এসব টিকিটের যাত্রাস্থান ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়।
এদিকে আটক সাজেদুর রহমান বলেন, 'নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য ওয়ারেন্টের টিকিট হিসেবে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে তিনি অবৈধভাবে টিকিট কেটেছেন এবং সম্প্রতি নয়ন নামের এক টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে পরিচয় হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে নেমে টিকিটগুলো নয়নের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।'
Comments