ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

ঝড়ো ইনিংসে নায়ক ফরহাদ, শেষ বলে বাউন্ডারিতে বাজিমাত মজিদের

Farhad Reza

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার বড় কোন দলে খেলতে পারছেন না লিটন দাস। পারিশ্রমিক নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার ঠিকানা হয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাবে। ছোট দলটির বড় তারকা তিনি। তবে এবার লিগে একটা ফিফটি করতে পেরেছেন এখন পর্যন্ত। এদিনও তার ব্যাট থেকে আসেনি বড় ইনিংস। লিটনের আরেক ব্যর্থতার দিনে চাপে পড়া দলকে টেনে তুলে দারুণ জয় এনে দেন অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজা। এদিকে বিকেএসপির আরেক ম্যাচ হয়েছে রীতিমতো থ্রিলার। শেষ বলে মীমাংসায় সেখানে আলো কেড়েছেন আব্দুল মজিদ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করে বিশাল চৌধুরীর ৮৩, মিজানুর রহমানের ৫০ ও আইচ মোল্লাহর ৬৫ রানে ভর করে ২৯৪ রান করে ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে এক পর্যায়ে ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল গুলশান। দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিটন ৪০ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছিলো তারা। চাপে পড়া দলকে পরে টেনে তুলেন অভিজ্ঞরা। নাঈম ইসলামের ৬ বলে ৫০ রানের পর মোহাম্মদ ইলিয়াস করেন ৬২ বলে ৫৩। তবে কাজের কাজ করেছেন ফরহাদ। রানরেটের চাপ সামলে ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি মেজাজে করেন ৪৭ রান। ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন দুই ছক্কা।

এই ইনিংসের কারণেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।

মজিদের শেষ বলে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচ হয় জমজমাট। পারটেক্সের ২২৩ রান একদম শেষ বলে টপকে ৪ উইকেটে জিতেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। ইনিংসের শেষ বলে ম্যাচ জিততে টাইগার্সের দরকার ছিলো ৪ রান, সেঞ্চুরির জন্যও ৪ রান দূরে ছিলেন আব্দুল মজিদ। ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত এই নাম মিলিয়েছেন দুই সমীকরণ। বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরির সঙ্গে খেলা শেষ করে দেন তিনি।

ইমরুলের ব্যাটে রান

বিকেএসপিতে আরেক ম্যাচে সেরা ছন্দে পাওয়া গেছে ইমরুল কায়েসকে। তার ৮৫ বলে ৮৬ রানে ভর করে ২৯৪ রান তুলে অগ্রণী ব্যাংক। শাইনপুকুর পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করেও করতে পারে ৫ উইকেটে ২৪৮ রান। রায়হান রাফসান সেঞ্চুরি করলেও দলের চাহিদা মেটাতে পারেননি। ১৩০ বল লাগিয়ে করেন ১০৬ রান।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

9h ago