ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ শুরু

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপ শুরু হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ড্যান স্ক্যাভিনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে দেওয়া সেই পোস্টে স্ক্যাভিনো লিখেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ওভাল অফিসে বসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলছেন।' 

তিনি আরও জানান, ইস্টার্ন ডেলাইট টাইম অনুযায়ী সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) থেকে চলছে এই ফোনালাপ। 

অর্থাৎ, স্ক্যাভিনোর পোস্টের সময়েই প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলছে ফোনকলটি। 

'ফোনালাপ ভালোভাবেই চলছে। এখনও চলছে,' পোস্টে আরও জানান তিনি।

এই ফোনকলে মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা হয়েছে দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজকের আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার ৩০ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা।

সোমবার ট্রাম্প নিজেই জানান, পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

এয়ারফোর্স ওয়ানের উড়োজাহাজে বসে ট্রাম্প বলেন, 'আমার ধারণা, আমরা ভূখণ্ড নিয়ে কথা বলব…আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নিয়ে কথা বলব।'

এখানে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ইঙ্গিত করেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে পড়া ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের মার্চে দখল করে নেয় রাশিয়া।

'আমি মনে করি, ইউক্রেন-রাশিয়া—উভয় পক্ষের মধ্যে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয়ে গেছে। আমরা এখনো এগুলো নিয়ে কথা বলছি, কিছু সম্পদ ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে', যোগ করেন তিনি।

২০১৪ ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ দখল করেছে রুশ সেনারা। এসব ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হতে পারে আজকের ফোনকলে।

রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি দিনের আলো দেখবে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন সৌদি আরবে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিলে কিয়েভ তা মেনে নেয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago