তার মতো মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরও সম্মান প্রাপ্য ছিল, বললেন সুজন

তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হতো বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আন্তর্জাতিক ম্যাচকে বিদায় জানান খালেদ মাহমুদ সুজন। তার বিদায়ের সময় মাঠে ছিলেন তার পুরো পরিবার। আবেগ ঘন এমন বিদায় আর খুব একটা দেখা যায়নি দেশের ক্রিকেটে। সম্প্রতি দেশের দুই তারকা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহও বিদায় নিয়েছেন। তবে পারলেন না মাঠে থেকে নিতে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতা শেষে প্রচণ্ড সমালোচনায় পড়েছিলেন অভিজ্ঞ দুই তারকা মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞতার কারণেই তাদের উপর প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু উল্টো বাজে শট খেলে দলকে আরও বিপদেই ফেলে আসেন তারা। যার জেরে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে আসর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তখন থেকেই আলোচনা চলছিল তাদের বিদায় নিয়ে।

দেশে ফিরে সবার আগে সামাজিকমাধ্যমে এক বার্তা দিয়ে বিদায় নেন মুশফিক। তার কদিন পর একইভাবে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও। যদিও তার আগে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে তবে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়াটা তাদের প্রাপ্য ছিলেন বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

দেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক গৌরবময় জয় এনে দেওয়া এ দুই তারকার বিদায় নিয়ে তাই আক্ষেপ করে সুজন বললেন, 'ওদের তো গ্লোরিয়াস ক্যারিয়ার আমি মনে করি। ওদের ক্যারিয়ারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটা উজ্জ্বল ব্যাপার সত্যি বলতে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নিয়ে এসেছিল ওরা। আমি মনে করি ওরা প্রাপ্য মাঠ থেকে অবসর নেওয়া।'

'ওদের সমর্থক, যারা ওদেরকে ভালবেসেছে এতদিন, তারাও ডিজার্ভ করে যে একটা বড় করতালির মধ্যে ওদের মাঠ থেকে বিদায় দেওয়া। আমরা যারা সমর্থক ছিলাম, আমরা যারা ওদের ক্রিকেটকে ভালোবাসি, সেই সুযোগটা আমাদের হয়তো হলো না। কেন ওরা মাঠ থেকে অবসর নিলো না, ওরাই ভালো বলতে পারবে। এটা ওরাই ভালো বলতে পারবে, হয়তো ওদের কোনো একটা কারণ থাকতে পারে,' যোগ করেন সুজন।

কেন মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া উচিত তাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, 'কোনো ছেলেকে অভিষেকের দিন মাঠেই ক্যাপ পরানো হয়। খেলাটা ছাড়ার সময়ও যদি মাঠ থেকে বিদায় হয়, জিনিসটা আরও প্রেজেন্টেবল হয়। ছাড়াটা আসলেও কষ্টের, যেটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।'

তবে দুইজনই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক, 'অবশ্যই ওদের ক্যারিয়ারের যে সময়, দুজনেই ওয়াইজ ডিসিশন নিয়েছে। হয়তো ওরা চালালে আরো কিছুদিন খেলতে পারতো। সেটা কতটা ওয়াইজ হতো আমি জানি না। মাঠ থেকে বিদায় নিলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। মাহমুদউল্লাহ অবসর নিতো, গ্যালারি ভরা দর্শক থাকতো, মানুষের হাততালিতে বিদায় নিতো সেটা ওর জন্য বড় পাওয়া হতো। আমি জানি না ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না। হলে ভালো হতো।'

নিজের বিদায়ের কথার স্মরণ করে বললেন, 'আমি যখন অবসর নেই, আমার পুরো পরিবার মাঠে ছিল। আমার বাবা, চা, ভাই–বোন, আমার পরিবার, স্ত্রী। আমি বগুড়ায় অবসর নিয়েছিলাম। তারা ঢাকা থেকে ওখানে গিয়েছিল। সবাই মাঠে ছিল। আমি খুবই গর্বিত ছিলাম আমার পুরো পরিবার শেষ খেলা দেখতে এসেছিল। বোর্ডে তখন যারা ছিল, আমাকে ওই সম্মানটা দিয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Over the past 11 months, 349 incidents of political violence took place across the country, BNP and its affiliated organisations were linked to 323 of these

10h ago