‘বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে ওয়ানডের মৃত্যু হয়েছে’

ছবি: রয়টার্স

বর্তমান বাস্তবতায় ওয়ানডে সংস্করণের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন উঠে যায়। মঈন আলী এবার রীতিমতো বিরক্তিই প্রকাশ করেছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেট নিয়ে। ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার সাফ বলে দিয়েছেন, সবচেয়ে বাজে হলো ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, আইসিসি আয়োজিত ইভেন্টের বাইরে এই সংস্করণের মৃত্যু ঘটেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন মঈন। সম্প্রতি টক স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'ওয়ানডে সংস্করণ বলতে গেলে প্রায় সম্পূর্ণভাবে মারা গেছে, বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাদে। এটা খেলার জন্য সবচেয়ে বাজে সংস্করণ। আমি মনে করি, এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।'

ওয়ানডেতে ১১ ওভার থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত থাকে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে। এই সময়ে সর্বোচ্চ চারজন ফিল্ডার ত্রিশ গজের বৃত্তের বাইরে রাখার নিয়ম রয়েছে। এতে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত মঈনের, 'আমার মনে হয়, নিয়মগুলো ভয়ানক। (দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে) অতিরিক্ত একজন ফিল্ডার বৃত্তের ভেতরে রাখতে হয় (কারণ, তৃতীয় পাওয়ার প্লেতে বৃত্তের বাইরে পাঁচজনকে রাখা যায়)। এটা উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর নিয়ম।'

Moeen Ali

তিনি যোগ করেছেন, 'তাই এখন ৬০-৭০ ব্যাটিং গড় রাখছেন ব্যাটাররা। আপনি যখন বোলিংয়ে কারও ওপর কিছুটা চাপ প্রয়োগ করতে পারেন, তখন সে আপনাকে শুধু রিভার্স সুইপ করে দেয় এবং সেটার জন্য সিঙ্গেল না, চারই পেয়ে যাচ্ছে। স্কোর করার জন্য ব্যাটারদের হাতে সব সময় এমন বিকল্প খোলা রয়েছে।'

মঈন নিজে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৩৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২৩৫৫ রানের পাশাপাশি ১১১ উইকেট রয়েছে তার। কেন এখনকার ওয়ানডে তিনি পছন্দ করেন না, তার পেছনে আরও কারণ দিয়েছেন মঈন, 'আপনি দুটি নতুন বল পাচ্ছেন। সেকারণে রিভার্স সুইং হারিয়ে ফেলছেন। নরম বল মারার দক্ষতাও আপনি হারিয়ে ফেলছেন। আমি মনে করি, এসব কারণে ৫০ ওভার ক্রিকেটের মৃত্যু হয়ে গেছে।'

বলা চলে, দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বর্তমানে একেবারেই আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে। বেশিরভাগ সময় অংশগ্রহণকারী দল ও বোর্ডগুলোরই পূর্ণ মনোযোগ থাকে না সেসব সিরিজ ঘিরে। তবে আইসিসি ইভেন্ট এলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের পুরনো জৌলুস কিছুটা ফিরে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago