সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল ১১৭ বার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। এই নিয়ে ১১৭ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল।
আজ রোববার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম সময় বাড়ানোর আদেশ দেন। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অপর এক আদালত পিবিআইকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল।
এদিকে, গত ৮ জানুয়ারি অপর একটি আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলায় সাবেক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ১২ বছর ধরে মামলাটির তদন্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ বলে, 'দীর্ঘদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এতে শুধু সাগর রুনির পরিবার নয়, পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'
একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি র্যাব থেকে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সে স্থানান্তর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এই টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সরকারের ২৯ সেপ্টেম্বরের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা আসে। আবেদনে ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিলের হাইকোর্টের পূর্ববর্তী আদেশ সংশোধন করার অনুরোধ করা হয়েছিল, যেখানে পুলিশ গোয়েন্দা শাখা থেকে মামলাটি র্যাবে স্থানান্তর করা হয়েছিল। হাইকোর্ট এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি খুন হন। সে সময় তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘের বয়স ছিল ৫ বছর। রুনির ভাই নওশের আলী রোমান পরের দিন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
Comments