জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অভিঘাত সুপেয় পানির অপ্রতুলতা

চট্টগ্রামের জলবায়ুর অভিযোজন বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা
রয়টার্স ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে আয়োজিত এক কর্মশালায় গতকাল মঙ্গলবার বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অভিঘাত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সুপেয় পানির অপ্রতুলতা।

বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাব দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে জানিয়ে তারা বলেন, সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে জনস্বার্থে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ওয়াটার এইড, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিম্ন আয়ের মানুষের জলবায়ুর অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফাত বিনতে আরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত দায়ী শিল্প উন্নত দেশসমূহ কিন্তু এই পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলি।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অভিঘাত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সুপেয় পানির অপ্রতুলতা।

বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাব দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে জনস্বার্থে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী।

বিশেষত বস্তিবাসী এবং নিম্ন আয়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি ভুগছে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এই সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করেছে।

নির্বিচারে পাহাড় কাটা এবং ফলশ্রুতিতে বর্ষাকালে পাহাড়ধস হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক আশপাশে উন্মুক্ত স্থান না রাখার কারণে ভূগর্ভে পানি প্রবেশ করতে পারছে না, ফলে ভূগর্ভের পানির স্তর দিন দিন নেমে যাচ্ছে এবং মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন দূষণে পানি পানের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে।

চসিক মেয়র বলেন, আসকার দিঘি ও ঢেবাসিহ চট্টগ্রামের বড় জলাশয়গুলি সংরক্ষণের জন্য তিনি শীগগির একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

নগরবাসীকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনসচেতনতা ছাড়া পরিবেশ রক্ষার কোনো উদ্যোগই সফল হবে না।

পার্থ হেফাজ শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম লিড বাবুল বালা। আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার পাশা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রামের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার।

Comments

The Daily Star  | English
IMF loan conditions

IMF conditions: Govt pledges to track graft in tax admin

The government has pledged a series of sweeping reforms to meet International Monetary Fund conditions for the next instalment of its $5.5 billion loan, including a public survey to measure corruption in tax administration and a phased reduction of subsidies on electricity, fertiliser, remittances and exports.

6h ago