‘রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, ছাত্র-জনতার প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে’

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

দেশকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সবার একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, 'আজকে আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করেছে, তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে… সবশেষে ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে।'

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এই কথা বলেন। সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'নতুন করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সবাই একটা আশার আলো দেখছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবাই এই কথাটা বলছেন। এটার জন্য সবার আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। বাসযোগ্য দেশ তৈরি করবার জন্য আমরা সবাই যেন কাজ করতে পারি।'

মাহফুজ উল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'মাহফুজ উল্লাহর প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো তখনই সফল হবে যদি তার আরাধ্য কাজটা করতে পারি। আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। তরুণরা দেশকে নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছেন। কিন্তু দেশকে সুন্দর করার জন্য মাহফুজ উল্লাহর মতো যাদের অবদান রয়েছে তাদের যেন ভুলে না যাই।

তিনি বলেন, 'তাদের উপরই কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং আজকে যে আমরা সামনের দিকে এগুচ্ছি সেই এগিয়ে যাওয়াটা সম্ভব হবে।'

প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহকে একজন প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, মেধাবী সাংবাদিক হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, 'তিনি কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলতে দ্বিধা করতেন না। তর্ক-বিতর্কে তিনি অত্যন্ত সাবলীলভাবে এমনভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারতেন যে …প্রতিপক্ষ সেখানে নিঃসন্দেহে পরাজিত হতো।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'মাহফুজ উল্লাহকে আমি মিস করি, সত্যিই মিস করি। তাকে হারানোয় সত্যিকার অর্থে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়ায় খুশি হয়েছি। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ।

মাহফুজ উল্লাহর বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, নজমুল হক নান্নু, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা. বজলুল গণি ভুঁইয়া, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর পুত্র মোস্তফা হাবিব বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

1h ago