এপি একটি কট্টর বামপন্থি গণমাধ্যম: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) একটি 'কট্টর বামপন্থি সংগঠন' বলে অভিহিত করেছেন।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এপির সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম মাসে নির্বাহী আদেশ দিয়ে মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে গালফ অব আমেরিকা রাখেন ট্রাম্প।
তবে এই নির্দেশ মেনে এপির লেখায় উপসাগরের নাম বদলানো হয়নি। এতেই হোয়াইট হাউসের সঙ্গে এপির বিরোধের সূত্রপাত।
গালফ অব মেক্সিকোকে গালফ অব আমেরিকা না লেখার দায়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় এপির সাংবাদিককে। জানানো হয়, ওই বার্তাসংস্থা ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী লেখার ধরন না বদলানো পর্যন্ত এয়ারফোর্স ওয়ান ও ওভাল অফিসে তাদের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।
হোয়াইট হাউসের যুক্তি, আইন মেনেই নাম বদলানো হয়েছে এবং এপিকে এই নির্দেশ মানতে হবে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরদের সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, 'এপি নামের একটি সংবাদসংস্থার সঙ্গে আমাদেরকে লড়তে হচ্ছে। তারা একটি কট্টর বামপন্থি সংগঠন—সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তারা—এবং এটা স্বীকার করতে চাইছে না যে গালফ অব মেক্সিকো নামে পরিচিত উপসাগরটি বর্তমানে গালফ অব আমেরিকা নামে পরিচিত।'

'আপাতত আমরা তাদেরকে কোনো সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে দিচ্ছি না। আমি নিশ্চিত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং হয়তো তারা সেটাতে জিতেও যাবে। কিন্তু এতে কিছু আসে যায় না। এটি এমন একটি বিষয়, যেটা আমাদেরকে প্রভাবিত করেছে'। যোগ করেন তিনি।
তবে এপির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আইনি উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ট্রাম্প।
১৮০ বছর পুরনো বার্তা সংস্থা এপিকে মার্কিন সাংবাদিকতার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এপির কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অসংখ্য খবরের কাগজ, টিভি ও রেডিও সংবাদ সংগ্রহ করে।
এপি ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখের ক্ষেত্রে সেটা যে নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত, সেটাই এপির লেখায় ব্যবহার হয়। আর ট্রাম্পের নাম বদলের এই নির্দেশ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, গোটা বিশ্বের কাছে উপসাগরটি এখনো গালফ অব মেক্সিকো নামেই পরিচিত।
Comments