সিটির সমর্থকদের ‘খোঁচায়’ তেতে উঠে এমন নৈপুণ্য ভিনিসিয়ুসের

Vinicius Junior

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগেই টিভি পর্দায় ভেসে উঠল বিশাল এক ব্যানার। ম্যানচেস্টার সিটির ভক্তরা রদ্রি ব্যালন ডি'অর জেতার ছবির সঙ্গে লিখে এনেছেন, 'কান্নাকাটি বন্ধ কর।' খোঁচাটা কাকে উদ্দেশ করে বুঝতে বাকি নেই। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও এটা দেখেছেন ভালো করে। পরে মাঠ জুড়ে পুরো ম্যাচে দেখিয়েছেন সেরা নৈপুণ্য, গোল না পেলেও করিয়েছেন দুই গোল। সুযোগ তৈরি করেছেন অনেকগুলো। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরাও এই ব্রাজিলিয়ান। প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, প্রতিপক্ষের সমর্থকরাই তাতিয়ে দিয়েছেন তাকে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্লে অফের প্রথম লেগে সিটির মাঠে মঙ্গলবার রাতে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দফা পিছিয়ে থেকেও শেষের ঝলকে তারা জিতেছে  ৩-২ গোলে। একদম অন্তিম সময়ে দারুণ এক পাসে বেলিংহ্যামকে দিয়ে গোল করান ভিনিসিয়ুস, স্তব্ধ করে দেন স্বাগতিক গ্যালারি।

গত মৌসুম রিয়ালের স্প্যানিশ লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের বড় কারিগর ছিলেন ভিনিসিয়ুস। স্বাভাবিকভাবেই ব্যালন ডি'অরে সবচেয়ে ফেভারিট ছিলেন তিনি। কিন্তু বিতর্কের জন্ম দিয়ে সেটা পেয়ে যান সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি। এটা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করে রিয়াল। ভিনিসিয়ুর পরে ফিফা দ্য বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্যালন ডি'অর না জেতার কষ্ট থাকা স্বাভাবিক। সেই কষ্টে আরেকটু নাড়া দেন সিটির ভক্তরা।

ম্যাচ সেরা হয়ে আসা এই ব্রাজিলিয়ান জানান ব্যানারটি তার চোখে পড়েছিল, আর এতে তেতে উঠার বারুদ পেয়ে যান তিনি,  'হ্যাঁ, আমি এটা দেখেছি। মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা এমন কিছু করে যা আমাকে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে উৎসাহিত করে। আমি আজও এটা করতে পেরেছি এবং দলের জয় নিশ্চিত করেছি। আমরা মাদ্রিদে ফিরব এবং আমাদের ভক্তরাও এটা বিশেষ কিছু করবে। তারা আমাদের ইতিহাস জানে, আমরা কী করতে পারি এই প্রতিযোগিতায় জানে। এটা পঞ্চমবার ম্যানচেস্টারে খেলতে এলাম। আমাদের আরও ছুটতে হবে, এখনো আরেকটা ৯০ মিনিট বাকি (ফিরতি লেগ)।'

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরতি লেগে রিয়ালের মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচের জন্য আরও কাজ বাকি বলে মনে করেন ভিনি, 'এখনো খেলা বাকি আছে। ফিরতি লেগ কঠিন হবে। আমাদের এটা ধরে রাখতে হবে যেমনটা আজ করেছি। বার্নাব্যুতে আরেকটি জাদুকরী রাত নিশ্চিত করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

3h ago