শিবলী রুবাইয়াত কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার দুদকের আদালতে দুদকের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল মো. জজ জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

আদালত আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

এদিকে ২৭ কোট ৮৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের মামলায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে একই আদালতে তোলা হয়। সংস্থাটি আলমগীরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাকেও কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন।

আদালত আরও জানান, বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদন শুনবেন।

ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গতকাল আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আলীমগীরের বিরুদ্ধে ৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বৈধ আয় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং পরিবারের ব্যয় আট কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা শিবলীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর শিবলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৭৬ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।

এজাহার অনুসারে, বাড়ি ভাড়ার ভুয়া চুক্তিপত্র দেখিয়ে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক কোটি ৯২ লাখ টাকা ঘুষ নেন।

এছাড়া, রপ্তানি জালিয়াতি অংশ হিসেবে পণ্য বিক্রির ভুয়া চুক্তির মাধ্যমে আরও এক কোটি ৮৪ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০২০ সালে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর গত বছরের মে মাসে চার বছরের জন্য পুনরায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে শিবলীসহ নয়জনের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে শিবলী এবং বিএসইসির সাবেক ও বর্তমান আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে দুদক।

Comments

The Daily Star  | English

Those speaking against Tarique Rahman are enemies of democracy: Fakhrul

"Those who are doing this are carrying out activities to destroy Bangladesh"

1h ago