নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, হচ্ছে না চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ভোট
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2025/02/04/ctg_bar.jpg)
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বাকি আছে পাঁচ দিন। প্রার্থীদের প্রচারণায় যখন মাঠ সরগরম ঠিক সেই সময় নির্বাচন আয়োজনে গঠিত নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মানসহ পাঁচ নির্বাচনী কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেন।
সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সরে দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ফলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।
সূত্র আরও জানিয়েছে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় অ্যাডহক কমিটি গঠন করবে আইনজীবী সমিতি।
১৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এ রকম ঘটনা ঘটলো।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা পদত্যাগ করায় আর নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ১১ কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় পাঁচ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন, বলেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েনে নির্বাচন কমিশন ও জেলা আইনজীবী সমিতিকে দরখাস্ত দেয়।
অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত জোট সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নির্বাচন কমিশন বরাবর এক দরখাস্ত দিয়ে সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানায়।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মতে, দুটি দরখাস্তই সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশন চায় না সমিতির কোনো সদস্য পুলিশ, সেনাবাহিনী অথবা অন্য কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হেনস্তার শিকার হোক।
জানতে চাইলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন সম্ভব বলে মনে হয়নি। দুটি প্যানেলই গঠনতন্ত্রবিরোধী দাবিতে অনড়। আমরা চাই না চট্টগ্রামের শত বছরের আইনজীবীদের সম্প্রীতিতে ফাটল ধরুক বা নির্বাচনকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটুক। তাই আমরা পাঁচ নির্বাচনী কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মানকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গত ২৬ জানুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নির্বাচন আয়োজনে গত ১৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি। নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা ছিল মোট পাঁচ হাজার ৪০৪ আইনজীবীর।
Comments