ফারুক খানের ফেসবুক পোস্ট ও কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আজ সোমবার সন্ধ্যায় একটি পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে ফারুক খানকে গত ১৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
কারাবন্দী ফারুক খানের ফেসবুক পোস্টটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কারাবান্দী কারও পক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শকের (উন্নয়ন) সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ ৩ ফেব্রুয়ারি ফারুক খান (Faruk Khan) ফেসবুক আইডির একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কারাবন্দী সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের বলে প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, কারাগারে থেকে এ ধরনের প্রচার বা ফেসবুক চালানো সম্ভব নয়। তিনি (ফারুক খান) বর্তমানে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন। কারাগারে আটক কোনো বন্দীর পক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই আইডি সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের পক্ষে কারাগারে থেকে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে অন্য কেউ বা তার আত্মীয়-স্বজন আইডিটি পরিচালনা করছে কি না, তা কারা কর্তৃপক্ষ জানে না।
বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ফারুক খানের ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে এসেছি। জেলের চার দেয়াল আমাদের নিজ সত্তার সামনে দাঁড়া করায়। অনেক কিছু বলতে চাই, কিনতু এখন সবই বলতে পারছি না। এতটুকুই বলবো শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম কিন্তু আজকে তাঁর হঠকারিতার জন্যেই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতিত কোন ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবেনা। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাইনা, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।'
গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের বাসা থেকে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হওয়া হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলার আসামি।
Comments