তোফাজ্জল হত্যা: পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নারাজি আবেদন
ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক ও মামলার বাদী মোহাম্মদ আমানউল্লাহ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে এ আবেদন দাখিল করেন।
তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ আবেদনটি উপস্থাপন করেন বলে আদালতের এক কর্মচারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
আবেদনের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।
আবেদনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য মামলার আরও তদন্তের জন্য নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
তবে, গ্রেপ্তার ৬ জনসহ ২১ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেওয়া পুলিশের অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেন নিহত তোফাজ্জলের চাচাতো বোন আসমা আক্তার।
নারাজি আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'মামলার বিচার বিলম্বিত করার জন্যই এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে।'
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর তোফাজ্জলের বোন আসমা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান গত ১ জানুয়ারি ২১ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে জালাল মিয়া (২৪), আহসান উল্লাহ ওরফে বিপুল শেখ (২৪), আল হোসেন সাজ্জাদ (২১), মোত্তাকিন সাকিন শাহ (২১), মো. সুমন মিয়া (২১) ও ওয়াজিবুল আলম (২১) কারাগারে আছেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ১৫ আসামি এখনো পলাতক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হল মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে ছয়টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে সন্ধ্যায় একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মাঠে আসেন তোফাজ্জল।
চোর সন্দেহে ছাত্ররা তাকে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। এরপর তারা তাকে হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যায়। সেখানে গুরুতর আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়।
Comments