ইভ্যালির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতে রাসেল-শামীমার ২ বছরের কারাদণ্ড

মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত

এক গ্রাহকের ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া, তাদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, পলাতক আসামিদের শাস্তি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রচলিত আইন অনুসারে রাসেল ও শামীমার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।

শুনানি চলাকালে আদালত মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি তৌফিক মাহমুদ বাদী হয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইভ্যালি বিভিন্ন মাধ্যমে চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করতো। বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তৌফিক মাহমুদ ২০২১ সালের ২০ মার্চ তাদের কোম্পানি থেকে একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন এবং দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ওই বছরের ৩ এপ্রিল তিনি আরও দুটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন এবং পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

তবে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে তিনটি বাইক সরবরাহ করেনি।

পরবর্তীতে তিনি ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ দুটি চেক ইস্যু করে। তবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নির্দিষ্ট তারিখে ব্যাংকে চেক জমা না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

আসামির প্রতি সরল বিশ্বাসে বাদী ব্যাংকে চেক জমা দেননি।

রাসেল ও শামীমা তৌফিক মাহমুদের টাকা ফেরত দেননি। কোনো উপায় না দেখে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তিনি ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে রাসেল ও শামীমাকে আইনি নোটিশ পাঠান। সেই নোটিশেরও তোয়াক্কা করেননি তারা।

এর আগে গত বছরের ২ জুন চেক জালিয়াতির মামলায় এই দম্পতিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত-৫।

এরপর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রতারণার মামলায় রাসেলকে দুই বছর ও শামীমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

শামীমা ২০২২ সালের এপ্রিলে এবং রাসেল ডিসেম্বরে জামিনে মুক্তি পান।
 

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

5h ago