আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা

জাতীয় বাজেট ২৩-২৪
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে একে ঘিরে গত কিছুদিন ধরে নির্বাচন কমিশনারদের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতেই হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবেও বাংলাদেশের সাধারণত এই দুই মাসেই সংসদ নির্বাচন হয়।

নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলো জানায়, তারা নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসকে বিবেচনা করছেন। কারণ রমজান, এইচএসসি পরীক্ষা এবং বর্ষার কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্ভব নাও হতে পারে।

সাধারণত, রমজানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। এ ছাড়াও, নির্বাচনের তারিখ এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে ভোটের দিনের আগের তিন সপ্তাহের প্রচারের সময়টাও রমজান মাসে না পড়ে। রমজানে নির্বাচন হলে ভোটারদের অংশগ্রহণ কমে যায় এবং প্রচারণা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়।

চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর নির্ভর করে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হতে পারে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচন কমিশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এপ্রিলেও নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা শুরু হয়, যা প্রায় এক মাস ধরে চলে। ওই সময়টায় নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।'

নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, পাবলিক পরীক্ষা, ধর্মীয় উৎসব ও বিরূপ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমেও নির্বাচন না করার রীতি রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন রোববার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই বছরের শেষে বা পরের বছরের প্রথমার্ধে আগামী সাধারণ নির্বাচন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন,  ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরের মধ্যে সব প্রস্তুতি, আইন ও আচরণবিধি চূড়ান্ত করতে হবে। অতীতে মে-জুন বর্ষাকালে নির্বাচন হয়নি।'

(সংক্ষেপিত, বিস্তারিত পড়ুন এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago