সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাবেক যুবলীগ নেতা ও ঢাকার অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
এর আগে, একই আদালত গত ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের আদালতে হাজির না হওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. শাহাদাত আলী দ্য ডেইল স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিচার শুরুর জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আবেদনে সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা বলেন, 'সম্রাট হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তাই তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।'
প্রসিকিউশন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, 'গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্রাট আত্মগোপনে আছেন।'
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে তাকে 'পলাতক' ঘোষণার নির্দেশ দেন এবং অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লায় ভারত সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
র্যাব তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার তথ্য প্রকাশ করে এবং একই বছরের ৬ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
র্যাব জানায়, সম্রাটের অফিস ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি নির্যাতন যন্ত্র, পাঁচটি গুলিসহ একটি পিস্তল ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
পরদিন রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
সম্রাট ২২২ কোটি টাকার অর্থপাচারের মামলারও আসামি।
Comments