ডিআর কঙ্গোয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত, বাংলাদেশিরা নিরাপদ

ডিআর কঙ্গোর গোমা শহরে টহল দিচ্ছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা। ছবি: রয়টার্স
ডিআর কঙ্গোর গোমা শহরে টহল দিচ্ছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা। ছবি: রয়টার্স

এ বছরের শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর (ডি আর কঙ্গো) সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী এম২৩ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত ১৩ জন বিদেশি নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক নেই।

আজ সোমবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদ রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল রোববার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে ৯ জন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, এসব সেনা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের গোমা শহর থেকে এম২৩ গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের হটিয়ে দিতে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন।

সংঘর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ সেনা ছাড়াও মালাউয়ির তিন এবং উরুগুয়ের একজন সেনা নিহত হয়েছেন। তারা সবাই জাতিসংঘের আওতায় শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া বাকি সব কর্মীকে ইতোমধ্যে গোমা শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী জনবহুল এই শহরটিতে সংঘাতের মাত্রা কমার আপাতত কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এ বছরের শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে এম২৩ যোদ্ধাদের লড়াই জোরালো রূপ নেয়। ওই সময় থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বেশি পরিমাণে এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় সংঘাতের জেরে চলতি বছরে চার লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

স্থানীয় নেতারা গত সপ্তাহে জানান, এম২৩ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে গোমার হাসপাতালে একশ জনেরও বেশি আহত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও জাতিসংঘের অভিযোগ, এম২৩ গোষ্ঠীর কার্যক্রমে রুয়ান্ডার সমর্থন রয়েছে। তবে রুয়ান্ডা এ অভিযোগ স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি।

এখনকার সংঘাতময় পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের গোমা ছাড়তে বলেছে।

Comments

The Daily Star  | English
sirens sound in israel after iran missile attack

Attacking military infrastructure in Western and Central Iran: Israeli military

Trump to decide within two weeks on possible military involvement

20h ago