আজ দাভোসে ট্রাম্পের বহুল প্রতীক্ষিত ভার্চুয়াল বক্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে সবার নজর কাড়তে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

প্রতিবেদন মতে, সুইজারল্যান্ডের এই সম্মেলনের প্রায় প্রতিটি আলোচনায় উঠে এসেছে ট্রাম্পের নাম। আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক—সব ধরনের বৈঠকেই আলোচনার কেন্দ্রে ট্রাম্প। যার ফলে, আজকের এই ভার্চুয়াল বক্তব্যই পরিণত হয়েছে এই সম্মেলনের সবচেয়ে বহুল প্রতীক্ষিত মুহূর্তে।

অথচ, তিন দিনও হয়নি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

এই সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন হার্ভার্ড স্কলার গ্রাহাম অ্যালিসন। তিনি এএফপিকে বলেন, 'ট্রাম্প উসকানি দিতে ভালোবাসেন, উপভোগ করেন। দাভোসে আসা অনেক মানুষই তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে বিরক্ত। তিনি (ট্রাম্প) একেবারেই বিরক্তিকর নন। এ কারণেই, ব্যাপারটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ।'

লাইভে বক্তব্য রাখার পর ট্রাম্পকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন দাভোসে উপস্থিত থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।

বিশ্ব বাণিজ্যের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে আগামীতে কি আসছে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প।

ঘটনাচক্রে, এই সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনেই শপথ নেন ট্রাম্প, আর শপথ নিয়েই মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা ও পানামা খাল দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। 

বিশ্লেষকদের মতে, কর কমানো, কেন্দ্রীয় সরকারের কলেবর খর্ব করা ও বিভিন্ন শিল্পখাতে নীতিমালা শিথিলের ঘোষণা দিতে পারেন ট্রাম্প। এ ধরনের বক্তব্যে ব্যবসায়ী মহলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।

ট্রাম্প প্রসঙ্গে দাভোসে বিশ্বনেতাদের বক্তব্য

ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং জুইজিয়ান সতর্ক করেন, 'বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না।'

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ মুক্ত বাণিজ্যকে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তার 'ফলপ্রসূ আলোচনা' হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ফন দের লেইয়েন জানান, ব্রাসেলস ট্রাম্পের সঙ্গে দরকষাকষির জন্য প্রস্তুত। তবে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন। তার মতে, ইইউর উচিত এই চুক্তির শর্তগুলোতে অটল থাকা। 

পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনইয়ো ট্রাম্পের 'পানামা খাল দখল করে নেওয়ার' হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করলেও ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে এই খালের নিয়ন্ত্রণভার পানামার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

মুলিনইয়ো বলেন, তিনি 'একেবারেই চিন্তিত নন' এবং এ ধরনের বক্তব্যে পানামা বিচলিত নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

1h ago