বেক্সিমকো শ্রমিকদের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

বেক্সিমকোর শ্রমিকরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেন। ছবি: সংগৃহীত

কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা।

আজ বুধবার বিকেল ৩টায় শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের কাশিমপুর (মৌজার মিল) এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এসময় শ্রমিকরা ৩-৪টি গাড়িতে ভাঙচুর চালান ও অগ্নিসংযোগ করেন। তারা কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী, চালক ও পথচারীরা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিকেল ৫টার দিকে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানার প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক গণসমাবেশ করে। 

গতকালের সমাবেশে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দুপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে বিকেল ৩টায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েক দফায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

মহাসড়কে শ্রমিকরা যানবাহন ভাঙচুরের সময় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, এটিএন নিউজের ফটোসাংবাদিক শাহ জালাল, বাংলাভিশনের ফটোসাংবাদিক আমির হোসেন রিয়েল ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ কালিয়াকৈর প্রতিবেদক আবু সাঈদ আহত হন।

যোগাযোগ করা হলে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম গণপরিবহন ভাঙচুর ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। বিকেল ৫টার দিকে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

11h ago