বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিলো উইন্ডিজ
সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তিনটি ম্যাচে অন্তত দুটি জিততেই হবে বাংলাদেশ। সেখানে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তাই পায়নি টাইগ্রেসরা। ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো বিভাগেই লড়াই করতে পারেনি তারা। শক্তি ও সামর্থ্যের পার্থক্যটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দলটি।
সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১১০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
স্বাভাবিকভাবেই এই হারে সরাসরি বিশ্বকাপ জয়ের সমীকরণ কঠিন করে ফেললো বাংলাদেশ। বাকি দুটি ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। একটি ম্যাচ জিতলেও নানা যদি কিন্তুর সমীকরণে সুযোগ থাকবে। তবে ক্যারিবিয়ানদের কাছে এদিন যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগ্রেসরা, তাতে কাজটা বেজায় কঠিন তাদের জন্য।
বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই দারুণ জ্বলে ওঠেন তিনি। অফ স্পিনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৯৩ বলের ইনিংসে অপরাজিত ১০৪ রান করেন তিনি। নিজের ইনিংসটি সাজান ১৬ চারের সাহায্যে।
তাকে দারুণ সাহায্য করেছেন আরেক ওপেনার কুইনা জোসেফ। ৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। রাবেয়া খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। তার বিদায়ের পর হেইলির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন শেমাইনে ক্যাম্পবেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ১০ রানে ফারজানা হক ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। শারমিন আক্তার সুপ্তার সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১৮তম ওভারে ৫৩ বলে ৪০ রান করে তিনি যখন আউট হন তখন দলের রান দুই উইকেটে ৬৯।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানা এসে হাল ধরেন শারমিনের সঙ্গে। কিন্তু ধীর গতির ব্যাটিংয়ে কাজটা কঠিন করে ফেলেন তারা। বিশেষ করে অধিনায়কের ব্যাটিং ছিল কিছুটা নেতিবাচকই। ১৪ রান করেছেন ৪৪টি বল খেলে। তার বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান শারমিনও। এ দুই ব্যাটারকেই ফেরান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ম্যাথিউস।
এরপর স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন সোবহানা মোস্তারি। ৫৪ রানের জুটি গড়লেও রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। আর এ জুটি ভাঙার পর খুব বেশি আগাতে পারেনি টাইগ্রেসরা। ২১ রান তুলতে পাঁচটি উইকেট হারালে কোনো মতে দুইশর কাছাকাছি পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। ৭০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ৫৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন মুর্শিদা। এছাড়া মোস্তারি ৩৫ ও স্বর্ণা ২৯ রান করেন। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ৪০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন ডেয়ান্ড্রা ডটিন। ২টি শিকার আলিয়াহ অ্যালেইন ও ম্যাথিউসের।
Comments