নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পহেলা বৈশাখ: পানি সম্পদ উপদেষ্টা

আগামী পহেলা বৈশাখে স্থানীয় নামসহ নদ-নদীর একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান।

তিনি বলেন, 'আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে এক হাজার ১০০ এর কিছু বেশি নদ-নদীর খসড়া তালিকা পেয়েছি। আরও যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। আমরা ৬৪ জেলায় খাল ও নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেবো, যাতে কেউ আগামীতে আর দখল করতে না পারে।'

ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত 'নদ-নদী ও পানির ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, 'যশোরের ভবদহের সমস্যাটা খুবই জটিল হয়ে গেছে, এতটা বছর এটা কোনোভাবেই অ্যাড্রেস করা হয়নি। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করছে। ভবদহ এলাকায় স্লুইস গেটের ভেতরে উচ্চতা নিচু, আবার স্লুইস গেটের বাইরে নদী ভরাট হয়ে গেছে অর্থাৎ উঁচু হয়ে গেছে। যার ফলে স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হলে পানি বের না হয়ে উল্টো ভেতরে ঢুকে পড়ে।'

তিনি বলেন, ভবদহ এলাকার সমস্যা সমাধান করতে হলে আমডাঙ্গা খাল আরও গভীর ও প্রশস্ত করে খনন করতে হবে। সেখানে পুনর্বাসনের বিষয় আছে। কিছু মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। এগুলো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

টিআরএমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদল তেড়ে আসে, তারা বলে টিআরএম করা যাবে না।

উপদেষ্টা বলেন, আশা করি ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভবদহের শতকরা ৮০ শতাংশ জায়গা থেকে পানি অপসারণ করতে সক্ষম হবো এবং মানুষ চাষাবাদ করতে পারবে।

তিনি বলেন, ঢাকার চার পাশের চারটি নদী এবং দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কর্মপরিকল্পনা আমরা চূড়ান্তকরণের দিকে যাচ্ছি।

করোতোয়া নদীর প্রভাবশালী দখলদার যিনি, তিনি নিজে এখন রাজি হয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে মিলে তিনি তার দখল সেখান থেকে তুলে নেবেন। এ কাজটা আমরা সহসাই করে ফেলতে পারবো, জানান তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডি এপ্রিলে শেষ হবে। বৃষ্টির সিজনের স্টাডি হয়েছে, এখন শীতের সিজনের স্টাডি শেষে অর্থের সংস্থান করে আশা করি এ কাজের উদ্বোধন করতে পারবো।

তিনি বলেন, নোয়াখালীতে মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় ওইখানে রাতারাতি চর জেগে ওঠে। ফলে নদী ভাঙ্গন হচ্ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে ওখানে ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করে দেওয়ায় ওই এলাকায় মানুষের বাড়ি-ঘরগুলো ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago