কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০
কুষ্টিয়ার একটি স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার মিরপুরে বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মাঝে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
'বিকেলে স্কুল মাঠে আমার উপস্থিতিতে মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন,' যোগ করেন তিনি।
ওসি দাবি করেন, সেসময় উভয়পক্ষের কয়েকশ নেতাকর্মী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তাদের অনেতের হাতে দেশীয় ধারাল অস্ত্রও ছিল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছেন। এরমধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালে আহত কর্মীদের দেখতে আসা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, 'বুরাপাড়া স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাদের স্থানীয় জামায়াতের এক নেতার নাম জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি নেতা নাসির আমাদের প্রার্থীর নাম তুলে নিতে হুমকি দেন। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় গতরাতে তার বাড়িতে হামলা করা হয়।'
সুজা উদ্দিন জানান, এই হামলার প্রতিবাদে আজ 'শালিসি মিটিং'র আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, 'সেখানে বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই নাসিরের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।'
বিএনপির হামলায় জামায়াতের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই সংঘর্ষে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, 'এটি এলাকার গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব। এখানে বিএনপির কেউ নেই।'
নাসির দলের কোনো পদধারী নেতা না বলেও দাবি করেন তিনি।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'নাসির নামে কোনো নেতার নাম আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে জানাতে পারব।'
Comments