‘জাতীয় দল থেকে অবসরে’, আফ্রিদিকে নিশ্চিত করলেন তামিম

Tamim Iqbal  Shahid Afridi

তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া নিয়ে এখনো যেন নাটকীয়তার শেষ নেই। ২০২৩ সালে সিরিজের মাঝে ঘোষণা দিয়ে অবসর নেওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন, এসে দুটি ওয়ানডে খেলে আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও বাকি দুই সংস্করণ নিয়ে এরপর আর স্পষ্ট কিছুই বলেননি তিনি। এখনো তামিমের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে আলাপ উঠে, কথা বলেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদও। তবে তামিম যে আর ফিরছেন না সেটা জানালেন শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আলাপে।

বিপিএলে এবার চিটাগং কিংসের মেন্টর হিসেবে এসেছেন আফ্রিদি। তামিম খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। একই হোটেলে থাকার সুবাদে নিয়মিত হচ্ছে আড্ডা। আফ্রিদি তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তেমন এক আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে উঠে এসেছে তামিম ও মোহাম্মদ নবির অবসর প্রসঙ্গ। 

মোহাম্মদ নবি, শাহীন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে সেই আড্ডায় এক পর্যায়ে নবি ও তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের গতিবিধি জানতে চান শহীদ আফ্রিদি। নবি জানান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে হয়ত তিনি ওয়ানডে ছেড়ে দেবেন। এসময় তামিমকে আফ্রিদি উর্দুতে জিজ্ঞেস করেন, 'তা তামিম তুমি একদম অবসরে, শেষ একবারে?' জবাবে তামিম বলেন, 'জাতীয় দল থেকে (অবসরে)'। হাত ক্রস করে জানান 'শেষ'।

২০২৩ সালে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন আচমকা সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন তামিম। তখন তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। এই সময় তুমুল আলোড়ন তৈরি করে এই ঘটনা। পরদিন ঢাকায় তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি, বেরিয়ে এসে জানান সিদ্ধান্ত বদলের কথা। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেন তিনি। তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার দূরত্বের খবর ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিয়ে নেয়। তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে যায় বাংলাদেশ। আগের বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে তামিমের বাংলাদেশ দলে ফেরা নিয়ে অনেক প্রশ্নে জবাব দিতে হয়েছে। বর্তমান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তামিমের ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন একাধিকবার। কেউই স্পষ্ট করেননি তামিমের অবসর। তামিম নিজেও গণমাধ্যমে নিজের অবসর বিষয় রেখেছেন ধোঁয়াশায়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago