কুয়াশার দাপট কাটেনি, ১৩ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী। রোদের দেখা নেই। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া সব মানুষের। ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

পৌষের ১৯তম দিন আজ। গত দুই দিনের মতো আজও কুয়াশার দাপট চলছে দেশজুড়ে। রোদ না থাকায় বেড়েছে শীতের অনুভূতি। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশের পাঁচ জেলা ও রংপুর বিভাগজুড়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

জেলাগুলো হলো­—রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট।

তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটাকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এরচেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটা হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে আজকের তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তরের আরেক জনপদ কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৫।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আজ সারাদিনে কুয়াশা কমার তেমন কোনো লক্ষণ নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলে থাকেন, কুয়াশা বরফের অতিক্ষুদ্র একটা অংশ। এটা আমাদের দেশে ছোট থাকে। কিন্তু যেসব দেশে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়, সেখানে তা বড় আকার ধারণ করে ঝরে পড়ে। একেই বলে স্নো। বাংলাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে বলে স্নো হয় না, তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ছোট ছোট ফোটা হয়ে ঝরে।

Comments