শিবিরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামতের যুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে: জামায়াত আমির

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, সেই যুদ্ধটা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেরামত করার যুদ্ধ।

'শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষায় বেশি আঘাত করা হয়েছে বেশি। উদ্দেশ্যহীন মানহীন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেটা জাতির খুব কম প্রয়োজনে আসছে। এখানে গবেষণা নাই, চর্চা নাই, উৎকর্ষ নাই। নৈতিকতা নাই, দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিল নাই। সবকিছুকে একদম তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, 'যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড, সেখানে তোমাদের শপথ নিতে হবে। আর কোনো চাপাতি কোম্পানিকে, কোনো গাঁজাখোরকে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। হাতে অস্ত্র নিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণরুম যারা কায়েম করে তাদের ওখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে, তাদের ঠিকানা ওখানে হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষা গবেষণা থাকবে। এই দায়িত্ব তোমাদের নিতে হবে।'

তিনি জাতীয় ঐক্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় বা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয় এরকম সকল হঠকারী আচরণ থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, 'এই বিচার জাতি দেখতে চায়। একজন অপরাধীও যেন বাঁচতে না পারে সেটা দেখতে চায়। যত সময়ই লাগুক, বিচার করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'এরা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক দল হতে পারে না। যারা ক্ষমতায় বসে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারে না, নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করে গদি রক্ষার জন্য, তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তারা একটি সন্ত্রাসী দল। সরকার তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। আবরার ফাহাদসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে মায়ের বুক খালি করেছে তারা।'

'এরা প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অস্ত্রাগারে পরিণত করেছিল। মদের বোতল আর অস্ত্র দিয়ে ভরে রেখেছিল। গণরুম তৈরি করে নির্যাতন চালাত। নামাজী ছেলেদের শিবির ট্যাগ দিয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত।'

তিনি আরও বলেন, 'এটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর বুয়েট নয়, সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা চরের মতো দখল করে নিয়েছিল। এমনকি আমাদের মেয়েদের বিদ্যাপিঠগুলোও তারা কলুষিত করেছিল।'

তিনি বলেন, '৭১ এ একটা স্বাধীনতা এসেছিল। এ জাতি এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার মর্মবাণী ডুকরে কেঁদেছিল। কারণ স্বাধীনতার ফসল বাংলাদেশের জনগণের ঘরে উঠেনি। একটা গোষ্ঠী এটা হাইজ্যাক করেছিল। অন্য দেশের হাতে এটা তুলে দিয়েছিল। তার প্রমাণ পাশের দেশের প্রধানমন্ত্রী ২৪ এর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে ভারতীয় বাহিনীকে বলেছেন এটা ভারতের দিবস।'

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

2h ago