খুলনাকে প্লে-অফে নিলেন মিঠুন-আজিজুল-ইমরুল
প্রথম চার ম্যাচে কেবল একটি জয় ছিল খুলনা বিভাগের। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল তারা। ব্যর্থতার ধারা ভেঙে জ্বলে ওঠা মোহাম্মদ মিঠুন ও ইমরুল কায়েস এবং ছন্দে থাকা আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাটে চড়ে প্লে-অফ পর্বে পৌঁছে গেল দলটি। হারলেও কোনো ক্ষতি হয়নি রংপুর বিভাগের। দুইয়ে থেকে তাদের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত ছিল আগেই।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ রানে জিতেছে খুলনা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় পুঁজি গড়ে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে রংপুর।
সাত ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে প্রথম পর্ব শেষ করেছে খুলনা। রংপুরের অর্জন সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট। আগামী শনিবার সকালে আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে চারে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগের মুখোমুখি হবে খুলনা। সেদিন দুপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ঢাকা মেট্রোকে মোকাবিলা করবে রংপুর।
অভিজ্ঞ মিঠুন তিনে নেমে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ৪৯ বল মোকাবিলায় মারেন পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা। চারে নামা তরুণ আজিজুলের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৬৬ রান। তিনি হাঁকান সাতটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা। আরেক অভিজ্ঞ ইমরুল ছয়ে নেমে অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। ২১০.৫৩ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৯ বলে চারটি চার ও দুটি ছয় মারেন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে আজিজুলের কল্যাণে উড়ন্ত শুরু পায় খুলনা। ৪.১ ওভারে ৩৫ রানের জুটি ভাঙে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয় দ্রুত ফিরে গেলে। দ্বিতীয় উইকেটে দলটির মেলে বড় সংগ্রহের ভিত। মিঠুনকে নিয়ে আজিজুল যোগ করেন ৬৮ রান। এরপর তাণ্ডব চালান মিঠুন ও ইমরুল। রংপুরের বোলারদের ওপর চড়াও হন তারা। এতে শেষ পাঁচ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান যোগ করে খুলনা।
শুরুতে শান্ত মেজাজে থাকা মিঠুন তেতে উঠে ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৬ বলে। ইমরুল প্রথম থেকেই ছিলেন আগ্রাসী ঢঙে। রংপুরের পক্ষে রবিউল হক চার ওভারে ২ উইকেট নেন ৩১ রান খরচায়। আলাউদ্দিন বাবুর ওপর দিয়ে যায় সবচেয়ে বড় ঝড়টা। এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (১৪ উইকেট) চার ওভারে ৪৪ রানে পান ১ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ফিরে যান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। আরেক ওপেনার তানবির হায়দার ও তিনে নামা নাঈম ইসলাম আভাস দিয়েই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রানের জুটি হলেও চালিয়ে খেলতে পারেননি আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি ২৭ বলে ২৭ রানে করেন দুটি চার ও একটি ছক্কায়। তাই বিফলে যায় আকবর আলির উত্তাল ইনিংস। ২৯ বলে দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
তিন বলের মধ্যে মামুন ও আকবরের বিদায়ের পর টপাটপ উইকেট খোয়াতে থাকে রংপুর। ঘূর্ণি বলের বিপরীতে ২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা থামে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে। খুলনার দুই স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ও টিপু সুলতান সমান ৩ উইকেট করে নেন।
Comments